বাংলাদেশকে ছোট করে দেখেন না ইংলিশরা

শেষ দুটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ইংল্যান্ড। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তো টাইগারদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা। তাই উপমহাদেশের এ দেশটির শক্তিমত্তা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন তারা। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উত্থানটাও দেখেছেন খুব কাছ থেকে। তাই টাইগারদের এখন ছোট দল ভাবা তো দূরের কথা, উল্টো ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ হিসেবেই মানছেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
ছবি: রয়টার্স

শেষ দুটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ইংল্যান্ড। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তো টাইগারদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা। তাই ভারতীয় উপমহাদেশের এ দেশটির শক্তিমত্তা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে দলটি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উত্থানটাও ইয়ন মরগান দেখেছেন খুব কাছ থেকে। তাই টাইগারদের এখন ছোট দল ভাবা তো দূরের কথা, উল্টো ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ হিসেবেই মানছেন ইংলিশ অধিনায়ক।

বিশেষ করে বাংলাদেশের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমীহ করছেন মরগান। পঞ্চপাণ্ডব খ্যাত পাঁচ খেলোয়াড়কে এক প্রকার ভয়ই পাচ্ছেন তিনি। কারণ এ পাঁচ খেলোয়াড় মিলেই খেলেছেন ৯৯০টি ম্যাচ। যা ইংল্যান্ডের সিনিয়র পাঁচ খেলোয়াড়ের প্রায় দ্বিগুণ। মরগান ছাড়া কেউই খেলেননি দুইশোর বেশি ম্যাচ। আর একশোর বেশি ম্যাচ খেলেছেন কেবল জো রুট ও জস বাটলার। সেখানে বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড় খেলেছেন দুইশোর বেশি ম্যাচ। বাকি দুজনের প্রায় দুইশো ছুঁইছুঁই। তাই তাদের অভিজ্ঞতা যে ম্যাচের বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা মানছেন ইংলিশ অধিনায়ক।

সব মিলিয়ে কার্ডিফে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচই আশা করছেন মরগান। লড়াইয়ের আগের দিন শুক্রবার (৭ জুন) সংবাদ সম্মেলনে জানান, 'এটা অনেক কঠিন একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তারা খুব ভালো দল এবং আমার মনে হয় লোকজন তাদের ছোট করে দেখে। কিন্তু আমরা সেটা করব না। তাদের এ দলটি অনেক ক্রিকেট খেলেছে। তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা অনেক, যেটা আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের চেয়েও বেশি। তাই অবশ্যই তারা আমাদের জন্য হুমকিজনক। আশা করি আমরা ভালো খেলব এবং তাদের বিপক্ষে জয় পাব।'

তবে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থানটা খুব বেশি দিন হয়নি। এক যুগ আগেও ছোট দল হিসেবেই পরিচিত ছিল। মরগানের চোখে বাংলাদেশের বড় হওয়ার শুরুটা ২০০৫ সালে। সেবার তাদের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়টিই টাইগারদের বদলে যেতে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন তিনি, 'আমার মনে আছে তাদের শুরুর দিকের কথা, যেটা তারা ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিল। তখন থেকেই তারা অনেক ক্রিকেট খেলে আসছে এবং দিন দিন ভালো দলে পরিণত হচ্ছে।'

এছাড়া শেষ দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের কথাও ভুলে যাননি মরগান। বিশেষ করে ২০১৫ সালের কথা। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে সেবারও যে তার নেতৃত্বেই খেলেছিল ইংলিশরা। সে জয়টি কোনো অঘটন ছিল না বলেও জানান ইংলিশ অধিনায়ক, 'আমরা তাদের কাছে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হেরেছি। সেদিনের জয়টি প্রাপ্য তাদের ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago