‘হারলেই আপনারা প্রশ্ন বদলে ফেলেন’
সংবাদ সম্মেলনে এক স্বদেশী সাংবাদিকের করা প্রশ্নে অখুশি হয়ে কিছুটা রাগান্বিত স্বরে জবাব দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। বন্ধুবৎসল মাশরাফি সংবাদ সম্মেলন শেষে ওই সাংবাদিককে ডেকে দিলেন আরও বিশদ ব্যাখ্যা, ‘ওকে আমি বলেছিলাম স্লিপ নিতে। সে বলল, স্লিপ নিয়ে বল করব না। বোলারের কথা তো শুনতে হয়।’
আসল ঘটনা হলো, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক কি রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন?’- এমন অপ্রিয় প্রশ্ন গিয়েছিল মাশরাফির কাছে। সেদিন কিউইদের জিততে যখন ৩৬ বলে দরকার ২৩ রান, হাতে আছে ৩ উইকেট, তখন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ডেলিভারিতে স্লিপ গলে বেরিয়ে যায় বাউন্ডারি। কমে যায় চাপ।
ওই সময় কি আরেকটু আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানো যেত না? মাশরাফির মতে, রক্ষণাত্মক নয়, পরিস্থিতি মাথায় রেখেই ফিল্ডিং সাজাতে হয়েছে তাদের। হারার পরই এসব কাঁটা-ছেড়ায় বড্ড আপত্তি অধিনায়কের। শুক্রবার (৭ জুন) সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘হারলে আসলে কোনটা রক্ষণ, কোনটা আক্রমণ আমি জানি না। আপনারা বিশ্লেষণ তো কম করেন না, কাকে কোথায় অ্যাটাক করতে হয় সেটাও আপনারা ভালো বোঝেন। হারলেই আপনারা প্রশ্ন বদলে ফেলেন। আমার কাছে মাঝেমাঝে (বোধগম্য না), মনে হয় আপনারা এভাবেই (প্রশ্ন বদল) করেন কী-না।’
আগের ম্যাচে ২৪৪ রানের পুঁজি নিয়েও নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ, যদিও খুব কাছে গিয়ে জয় আসেনি। তবে নিজেদের কৌশলে কোনো খামতি দেখছেন না মাশরাফি, ‘আর হ্যাঁ, রক্ষণাত্মক কোথাও ছিল না। যাকে আক্রমণ করার দরকার, করা হয়েছে। দিনশেষে কিন্তু বোলারের বিষয় (ফিল্ডিং পজিশন)। বোলার কী চায় তা পরিস্থিতির উপরও নির্ভর করে। সবকিছু মাথায় রেখে ফিল্ডিং সাজিয়েছি। উইলিয়ামসন বলেন বা টেইলর বলেন, ওদের কথা মাথায় রেখে সাজাতে হয়। তো আমরা আমাদের সেরা চেষ্টা করেছি। সবসময় উপরে (ফিল্ডার) রেখে বোলিং করেছি। কাজেই শুধু ফলের দিকে না তাকিয়ে কথা বললে ভালো হয়।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরিস্থিতি বুঝে ফিল্ডিং সাজালেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে বাংলাদেশ খুব আক্রমণাত্মক হবে না, তা স্পষ্টই করে দিয়েছেন অধিনায়ক। বরং তার মনে হচ্ছে, ইংলিশদের বিপক্ষে রক্ষণই আসল ইতিবাচক ক্রিকেট, ‘প্রথমত, ইংল্যান্ড যে ধরনের ক্রিকেট খেলে, ওদের সঙ্গে ডিফেন্সই হচ্ছে ইতিবাচক ক্রিকেট। কারণ ওরা গত চার বছরে যেকোনো পরিস্থিতিতে আক্রমণাত্মক মানসিকতায় থেকেছে। ওরা সবসময়ই চায় সাড়ে তিনশো-চারশো রানে পৌঁছাতে।’
Comments