পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

প্রিয়জনদের সাথে ঈদ শেষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকাসহ তাদের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে আজ (৮ জুন) সকাল থেকেই রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ছে। সেই চাপ পড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া লঞ্চঘাটেও।

তবে তাদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রীবাহী গাড়ি থাকায় যাত্রী পরিবহনে এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি নেই বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

তবে দুপুরে খানিক বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি হয়েছে উল্লেখ করে কয়েকজন যাত্রী বলেন, ঘাটে যাত্রী ছাউনি নেই বলে তারা বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু, লোকজন বেশি থাকায় অনেককে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। এতে ভোগান্তি হয়েছে।

তারা ঘাটে যাত্রী ছাউনি তৈরির জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক ফরিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমাদের পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের আশেপাশে বেশ কয়েকটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। সেখানে এক হাজারের মতো যাত্রী আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু, এবার ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণে কর্তৃপক্ষ ঘাট থেকে আধা কিলোমিটার দূরে টার্মিনালে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তখন ঘাটে যাত্রীদের হেঁটে আসার সময় বৃষ্টি হলে তারা ভোগান্তিতে পড়েন।”

“আবার একইভাবে, লঞ্চযাত্রীদের ঘাট থেকে একটু দূরে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে সেখান থেকে ঘাটে আসার সময় বৃষ্টি হলে তাদের ভিজতে হয়,” বলেও জানান তিনি।

“এমন পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু করণীয় নেই,” বলে মন্তব্য করেন ফরিদুল ইসলাম।

এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও ২০টি ফেরি চালু থাকায় যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ফেরি ও লঞ্চ সার্ভিস স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যেতে পারছেন।

এদিকে, পাটুরিয়া লঞ্চঘাট শাখা সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী জানান, ভোর থেকেই রাজধানীমুখী মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ও আরিচা লঞ্চঘাট এলাকায়। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজীরহাট নৌরুটে মোট ৩৪টি লঞ্চ রয়েছে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২৪টি লঞ্চ চলাচল করছে। বাকিগুলো রয়েছে আরিচা কাজীরহাট নৌরুটে। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৬ কিলোমিটার অংশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পাটুরিয়া ও আরিচা লঞ্চঘাটে কর্মমুখী মানুষের বাড়তি চাপ আছে। তবে তাদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রীবাহী গাড়ি থাকার কারণে যাত্রী পরিবহনে কোনো ভোগান্তি নেই বলেও জানান তিনি।