জয়ের ধারা বজায় রাখতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ
২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সে যাত্রা অবশ্য রক্ষা পেয়েছিল ইংলিশরা। উঠেছিল পরের পর্বে। গেল আসরে শেষরক্ষা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জয় তুলে নিয়ে নিজেরা কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় টাইগাররা। বিশ্ব মঞ্চে টানা দুই জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে আবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, টানা তৃতীয় জয়ের খোঁজে।
শনিবার (৮ জুন) কার্ডিফে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামছেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা। পয়া ভেন্যুতে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য এবারের আসরের সবচেয়ে কঠিনই! কারণ দুটি। প্রথমত, বিশ্বকাপের আয়োজক এবার ইংল্যান্ড। চেনা মাঠ-কন্ডিশনে এগিয়ে থাকবে তারাই। দ্বিতীয়ত, ইয়ন মরগানরা এখন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হারের পর বদলে গেছে দেশটির ক্রিকেট খেলার ধরন। গেল চার বছর ধরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে তারা। ২০১৯ আসরের টপ ফেভারিট তকমাটাও তাদেরই গায়ে।
দুদলই বিশ্বকাপ শুরু করেছিল জয় দিয়ে। উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। একই দলের বিপক্ষে জিতে আসরে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের পরের ম্যাচে আবার দুদলই হেরেছে। উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ঠাসা ছিল ম্যাচ দুটি। হারায় স্বভাবতই হতাশ দুই শিবির। তাই জয়ে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে একে অপরকে মোকাবেলা করতে যাচ্ছে তারা।
ভেন্যু:
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্স বাংলাদেশের জন্য পয়া ভেন্যু। সেখানে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। দেশের বাইরে যে কয়েকটি ভেন্যুতে টাইগারদের শতভাগ জয়ের রেকর্ড রয়েছে, তাদের একটি হলো এটি। দুটি জয়ই ছিল ঐতিহাসিক। দুটি জয়ই ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
২০০৫ সালে এই মাঠেই প্রবল পরাক্রমশালী ও তৎকালীন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জয়টিকে অবশ্য অঘটন তকমাই দেওয়া হয়েছে। তবে ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ড বধকে কোনোভাবেই চমক বলার উপায় নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট পরাশক্তি হওয়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে- এই বার্তাই পাওয়া গিয়েছিল ওই ম্যাচে।
পরিসংখ্যান:
মোট ম্যাচ: ২০টি, বাংলাদেশ জয়ী: ৪টি, ইংল্যান্ড জয়ী: ১৬টি।
বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান:
মোট ম্যাচ: ৩টি, বাংলাদেশ জয়ী: ২টি, ইংল্যান্ড জয়ী: ১টি।
সম্ভাব্য একাদশ:
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই দুদলের এ ম্যাচে মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি। তবে পেস আক্রমণ আরও শক্তিশালী করতে পারে ইংলিশরা। সেক্ষেত্রে স্পিনার আদিল রশিদের পরিবর্তে সুযোগ পেতে পারেন পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট।
বাংলাদেশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ড:
জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মইন আলী, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ/লিয়াম প্লাঙ্কেট, মার্ক উড, জোফরা আর্চার।
Comments