লাইভ আপডেট: বড় হারই দেখল বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। প্রায় পাহাড়সম। ৩৮৭ রানের। এ রান তাড়ার রেকর্ড বিশ্বকাপের ইতিহাসে নেই। সে রান তাড়ায় বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন সাকিব আল হাসান। তুলে নিলেন বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তাকে কিছুটা সহায়তা করেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত বড় হারই দেখেছে বাংলাদেশ। ইংলিশদের বিপক্ষে ১০৬ রানের হার দেখল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ (রয় ১৫৩, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মরগান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্লাঙ্কেট ২৭*; সাকিব ০/৭১, মাশরাফি ১/৬৮, সাইফউফফিন ২/৭৮, মোস্তাফিজ ১/৭৫, মিরাজ ২/৬৭, মোসাদ্দেক ০/২৪)।
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ (তামিম ১৯, সৌম্য ২, সাকিব ১২১, মুশফিক ৪৪, মিঠুন ০, মাহমুদউল্লাহ ২৮, মোসাদ্দেক ২৬, সাইফউদ্দিন ৫, মিরাজ ১২, মাশরাফি ৫*, মোস্তাফিজ ০; ওকস ০/৫৭, আর্চার ৩/৩০, প্লাঙ্কেট ১/৩৬, উড ২/৫২, রশিদ ১/৬৪, স্টোকস ৩/২৩)।
ফলাফল: ইংল্যান্ড ১০৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জেসন রয় (ইংল্যান্ড)।
মিরাজের বিদায়
জোফরা আর্চারের বলটি ছিল অফস্টাম্পের বেশ বাইরে। পা না নিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে। ৮ বলে ১২ রান করেছেন মিরাজ।
টিকতে পারলেন না সাইফউদ্দিনও
বড় হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেটের পতন হয়েছে টাইগারদের। বেন স্টোকসের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৮ বলে ৫ রান করেছেন এ অল রাউন্ডার।
৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৫ রান। ১ রানে ব্যাট করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাহমুদউল্লাহকে ফেরালেন উড
লক্ষ্য বড় হলেও ছয় নম্বরে নেমে এক প্রান্ত ধরে রেখে দেখে শুনেই ব্যাট করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ফিরে গেছেন তিনিও। মার্ক উডের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বল। শর্ট ফাইন লেগে সে ক্যাচ দৌড়ে গিয়ে ধরতে কোন ভুল করেননি উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। ৪১ বলে ২৮ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬১ রান। সাইফউদ্দিন ৩ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ফিরে গেলেন মোসাদ্দেক
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বেন স্টোকসের খাট লেংথের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন তিনি। টপ এজ হয়ে লং লেগে ধরা পড়েছেন জোফরা আর্চারের হাতে। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৬ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫৭ রান। ২৬ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নীমছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সাকিবকে ফেরালেন স্টোকস
বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেলেন এ অলরাউন্ডার। বেন স্টোকসের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন এ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ২৬০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশ্র সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ১৬ রানে উইকেটে আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সাকিবের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি
বিশ্বকাপে পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন এদিন নিয়ে মোট আটবার। কিন্তু তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানো হচ্ছিল না বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ইংল্যান্ডের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় এদিন তার কাছে বড় ইনিংস আশা করেছিল দল। এখন পর্যন্ত প্রত্যাশা পূরণ করেছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলেন সাকিব। ক্যারিয়ারের অষ্টম। এর আগে গত বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৯৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন এ অলরাউন্ডার। প্রথম পঞ্চাশ রান সাকিব করেছিলেন ৫৪ বলে।
৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। ১০৩ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহ উইকেটে আছেন ৬ রানে।
খালি হাতে ফিরলেন মিঠুন
লক্ষ্য বড় থাকাতেই হয়তো নেমেই হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দ্বিতীয় বলেই আদিল রশিদের বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্পিনের মুখে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে। কোন রান নিতে পারেননি মিঠুন।
৩০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৯৫ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।
মুশফিকের বিদায়ে ভাঙল জুটি
বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখে দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ১০৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু এ জুটি ভেঙেছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। তার বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ব্যাটের বাইরের দিকে কানায় লেগে চলে যায় পয়েন্টে দাঁড়ানো জেসন রয়ের হাতে। ৫০ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেছেন মুশফিক।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৯ রান। ৯৪ রনে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
সাকিব-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ
দুই ওপেনার হারানোর পর দেশ সেরা দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মধ্যেই ৫০ রানের জুটি গড়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ৫৬ বলে গড়েন এ জুটি। জুটিতে সাকিবের অবদান ৩০ রান, মুশফিকের ২০।
২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৭ রান। সাকিব ৭২ ও মুশফিক ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের দলীয় একশ
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে বড় চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেটে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। জুটিও গড়েছেন। এর মধ্যেই দলীয় শতরান পার করেছেন তারা। ১৯.১ ওভারে আসে বাংলাদেশের একশ রান। ১০.২ ওভারে এসেছিল টাইগারদের প্রথম পঞ্চাশ রান।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৫ রান। সাকিব ৫৭ ও মুশফিক ১৯ রানে ব্যাট করছেন।
সাকিবের ফিফটি
আগের দুই ম্যাচেও ফিফটি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটসম্যান এদিনও নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ক্যারিয়ারে এটা তার ৪৫তম হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে অষ্টম। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির দেখা মিলেনি তার। দলের খুব প্রয়োজনের দিনে সাবলীলভাবেই ব্যাট করছেন তিনি। ৫৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় আসে তার ফিফটি।
১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৮ রান। সাকিব ৫১ ও মুশফিক ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
তামিমের বিদায়ে ভাঙল জুটি
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হলেও দেখে শুনেই নিজের মতোই খেলছিলেন তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটিও গড়েছিলেন। মাঝে মধ্যে কিছুটা ঝুঁকি নিচ্ছিলেন। তার একটিতেই বিদায় নিয়েছেন এ ওপেনার। মার্ক উডের খাট লেংথের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন তামিম। ঠিক ভাবে না লাগায় ক্যাচ চলে যায় কভারে দাঁড়ানো ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগানের হাতে। ২৯ বলে ১৯ রান করেছেন তামিম। ভাঙে ৫৫ রানের জুটি।
১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৮ রান। সাকিব ৩৮ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ফিরে গেলেন সৌম্য
৩৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল উড়ন্ত সূচনা। তাতো হয়নি উল্টো ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। জোফরা আর্চারের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন সৌম্য। ফলে বোল্ড হয়ে যান এ ওপেনার। ৮ বলে ২ রান করেছেন তিনি।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৮ রান। ৯ রানে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে টাইগারদের
বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে জেতেনি আর কেউ। তাই জিততে হলে রেকর্ড করতে হবে টাইগারদের। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ইংলিশদের করা ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিল আইরিশরা।
৩৮৬ রানের পাহাড় গড়ল ইংল্যান্ড
জেসন রয়ের ঝড়ো সেঞ্চুরি। সঙ্গে জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর আগ্রাসী ফিফটি। তাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান তুলেছে দলটি। এতে নতুন বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে দলটি। এ নিয়ে টানা সাতটি ইনিংসে তিনশর বেশি রান করল দলটি। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষেও এটা সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১১ সালে ভারত ৩৭০ রান তুলেছিল।
শুধু বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটা। ২০০৫ সালে নেটওয়েস্ট ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯১ রান তুলেছিল এই ইংল্যান্ডই। আর বিশ্বকাপে সব দল মিলিয়ে এটা সপ্তম সর্বোচ্চ স্কোর।
শুরুর ঝড় থামিয়ে মাঝে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিল টাইগাররা। তাতে মনে হয়েছিল সাড়ে তিনশর কাছাকাছি আটকে রাখতে পারবে ইংলিশদের। কিন্তু শেষ দিকে টাইগার বোলারদের উপর তোপ দাগান দুই পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট ও ক্রিস ওকস। ৮ বলে ১৮ করেন ওকস। আর প্লাঙ্কেট মাত্র ৯ বলে করেন ২৭ রান। শেষ ৩ ওভারে ৪৫ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ (রয় ১৫৩, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মরগান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্লাঙ্কেট ২৭*; সাকিব ০/৭১, মাশরাফি ১/৬৮, সাইফউফফিন ২/৭৮, মোস্তাফিজ ১/৭৫, মিরাজ ২/৬৭, মোসাদ্দেক ০/২৪)।
মোস্তাফিজের বলে আউট স্টোকস
রানের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন বেন স্টোকস। মোস্তাফিজের খাট লেংথের বলে ঠিকভাবে খেলতে না পেরে আকাশে উঠিয়ে দেন স্টোকস। পয়েন্টে প্রথম দফায় ঠিকভাবে ক্যাচটি ধরতে পারেননি মাশরাফি, দ্বিতীয় দফায়ও পারেননি। তবে তৃতীয় দফায় তালুবন্দি করেছেন অধিনায়ক।
৪৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩৫৫ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। ওকস ১৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
মরগানকে বিদায় করলেন মিরাজ
বাটলারের বিদায়ের পর মরগানকেও দ্রুত বিদায় করেছে টাইগাররা। দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সৌম্য সরকার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েছেন সৌম্যর হাতে। ৩৩ বলে ১টি চার ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করেছেন মরগান।
৪৭ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৪১ রান করেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস ৬ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ক্রিস ওকস।
বাটলারকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
উইকেটে নেমেই ঝড় তুলছিলেন বাটলার। তুলে নিয়েছিলেন নিজের হাফসেঞ্চুরিও। রানের গতি আরও বাড়াতে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েছেন এ ব্যাটসম্যান। সাইফউদ্দিনের বলে স্কোয়ার লেগে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার কয়েক পা এগিয়ে সহজ ক্যাচ ধরেছেন। তবে আউট হওয়ার আগে কার্যকরী ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন বাটলার। ৪৪ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে মরগানের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়েছেন বাটলার।
৪৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৩৩৫ রান করেছে ইংল্যান্ড। ৩২ রানে ব্যাট করছেন মরগান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন বেন স্টোকস।
ইংল্যান্ডের তিনশ পার, বাটলারের ফিফটি
বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। উইকেটে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাট চালাচ্ছেন জস বাটলার। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগানও। এর মধ্যেই দলীয় তিনশ রান পার করেছেন তারা। ২৫৩ বলে এলো দলের তিনশত রান। প্রথম একশ রান করেছিল তারা ৯০ বলে, দ্বিতীয় একশ আসে ৯৪ বলে।
একই ওভারে নিজের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন বাটলার। মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এ রান করতে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
৪৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩০৯ রান। বাটলার ৫৩ ও মরগান ২২ রানে ব্যাট করছেন।
বিপজ্জনক জেসন রয়কে ফেরালেন মিরাজ
মেহেদী হাসান মিরাজের করা ৩৪তম ওভারে প্রথম তিনটি বলই ছক্কা হাঁকালেন জেসন রয়। চতুর্থ বলেও হাঁকাতে গিয়েছিলেন। তবে এবার বলটা একটু বাইরের দিকে রেখেছিলেন মিরাজ। ব্যাটে বল ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় উঠে যায় আকাশে। কভারে সহজ ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক মাশরাফি। তবে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১৫৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ১২১ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। বিশ্বকাপে ইংলিশদের পক্ষে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
৩৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৩৬ রান। জস বাটলার ব্যাট করছেন ৬ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
রুটকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
উইকেটে নেমে দেখে শুনে ব্যাট করছিলেন জো রুট। তবে সাইফউদ্দিনের বলের গতি ঠিকঠাকভাবে বুঝতে পারেননি তিনি। ফ্লিক করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। আউট হয়ে যাওয়ার আগে ২৯ বলে ১টি চারের সাহায্যে ২১ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
৩২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০৮ রান। জেসন রয় ব্যাট করছেন ১৩০ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জস বাটলার।
দুইশ পার করল ইংল্যান্ড
বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ৩১ ওভারের খেলা শেষ না হতেই দলীয় দুইশ রান পার করেছে দলটি। ১৮৪ বলে দলীয় দুইশ রান স্পর্শ করে দলটি। প্রথম শতকটি তারা করেছিল ৯০ বলে। ৩১তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এ ওভারের প্রথম তিন বলে টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন জেসন রয়। যার শেষটি ছক্কা। এর পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলীয় দুইশ পূরণ করেন রয়।
৩১ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০২ রান। জেসন রয় ২৬ ও জো রুট ২১ রানে ব্যাট করছেন।
জেসন রয়ের সেঞ্চুরি
শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করছিলেন জেসন রয়। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করে ইংলিশদের এনে দিয়েছেন উড়ন্ত সূচনা। এবার নিজেও তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। মাত্র ৯২ বলেই এ তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এ ওপেনার। ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটা তার নবম সেঞ্চুরি।
২৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬৭ রান। ১০০ রানে ব্যাট করছেন জেসন রউ। জো রুট উইকেটে আছেন ১২ রানে।
বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মাশরাফি
অবশেষে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ ওভার দেখে খেলার পর থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২৮ রানের সংগ্রহ। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন জনি বেয়ারস্টো। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে মাশরাফির করা বলটি কিছুটা বাড়তি বাউন্স ছিল। লেগে ঘোরাতে চেয়েছিলেন বেয়ারস্টো। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠলে তা ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৫১ রান করেছেন এ ওপেনার। ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
২০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৩০ রান। জেসন রয় ৭৫ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জো রুট।
বেয়ারস্টোর ফিফটি
ইংলিশদের ব্যাটিং আগ্রাসন ধরে রেখে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম ফিফটি। দারুণ ব্যাটিং শৈলী উপহার দিয়ে মাত্র ৪৮ রানে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এ রান করতে মেরেছেন ৬টি চার।
১৯ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২৮ রান। জেসন রয় ৭৫ ও বেয়ারস্টো ৫১ রানে ব্যাট করছেন।
ইংল্যান্ডের একশ পার
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে দারুণ ব্যাট করে চলেছেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। দুই জনই হাত খুলে ব্যাট করছেন। তবে কিছুটা আগ্রাসী জেসন রয়। এর মধ্যেই দলীয় শতরানের কোটা পার করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। মাত্র ৯০ বল আসে ইংল্যান্ডের একশ। প্রথম পঞ্চাশ রান এসেছিল ৪৭ বলে।
১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০১ রান। ৫৯ রানে ব্যাট করছেন জেসন রয়। জনি বেয়রাস্টো উইকেটে আছেন ৩৯ রানে।
জেসন রয়ের ফিফটি
বাংলাদেশের বোলারদের ভোগান্তি বাড়িয়ে যাচ্ছেন জেসন রয়। শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন তিনি। সে ধারায় এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৩৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এ রান করতে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন এ ওপেনার। ক্যারিয়ারে এটা তার ১৬তম হাফসেঞ্চুরি।
১২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৮৭ রান। জেসন রয় ৫১ রানে ব্যাট করছেন। জনি বেয়ারস্টো উইকেট আছেন ৩৪ রনে।
ঝড়ো ব্যাটিং পঞ্চাশ পার ইংলিশদের
শুরুটা সাবধানে করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেশ হাত খুলে ব্যাট করছেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১৫ রান নিলেও দলীয় ফিফটি তারা স্পর্শ করেছেন ৭.৫ ওভারেই। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের শুরুটা জেসন শুরু করলেও তার সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে শুরু করেছেন বেয়ারস্টোও।
১০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৭ রান। জেসন রয় ৩৮ ও জনি বেয়ারস্টো ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
ইংলিশদের সাবধানী সূচনা
ওপেনিংয়ে বল করতে এসে শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন সাকিব আল হাসান। অপর প্রান্তে দারুণ বল করছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। ইংলিশদের দুই ওপেনার যেখানে আগ্রাসী ব্যাট করতে পছন্দ করেন, সেখান দুই ব্যাটসম্যানকেই খোলসে আটকে রেখেছেন তারা। প্রথম পাঁচ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র ১টি। তবে কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছেন জেসন রয়।
৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫ রান। জেসন রয় ১২ ও জনি বেয়ারস্টো ৩ রানে ব্যাট করছেন।
ইংল্যান্ড দলে মইনের জায়গায় প্লাঙ্কেট
বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশের দুর্বলতা জেনেই হয়তো একজন বেশি পেসার দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইংল্যান্ড। লিয়াম প্লাঙ্কেটকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করেছে দলটি। লেগ স্পিনার আদিল রশিদের জায়গায় নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মইন আলিকে বাদ দেয় দলটি। বাংলাদেশের লেগ স্পিন দুর্বলতার কথাও তাদের অজানা নয়। এছাড়াও বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই বাঁহাতি। সে কারণেই হয়তো এ সিদ্ধান্ত।
ইংল্যান্ড একাদশ: জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, জস বাটলার, লিয়াম প্লাঙ্কেট, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, আদিল রশিদ ও জোফরা আর্চার।
অপরিবর্তিত বাংলাদেশ একাদশ
শেষ দুই ম্যাচে খেলা একাদশ নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের জায়গায় রুবেলের হোসেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। কারণ গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিনেই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অসাধারণ জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দারুণ লড়াই। স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারলে হয়তো সে ম্যাচে জিতত বাংলাদেশই। কিন্তু অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করে ক্রিকেট বিশ্বকে নতুন বার্তা দিয়েছে টাইগাররা। এবার তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। যাদের বিপক্ষে এর আগের দুটি বিশ্বকাপেই জয় বাংলাদেশের। এবারও সে ধারা ধরে রাখতে চায় তারা। সে লক্ষ্যে শুরুটাও ভালো হয়েছে তাদের। টস জিতেছে নিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
‘রক্ষণশীল’ কৌশল বাংলাদেশের
২০১১ সালে চট্টগ্রামে রোমাঞ্চে ঠাসা রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালেও ফের রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচ। সেবার অ্যাডিলেডে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি আর রুবেল হোসেনের শেষের স্পেলে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার কার্ডিফে ইংল্যান্ডকে বিশ্বমঞ্চে টানা তিনবার হারানোর সুযোগ মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের। এই সুযোগ নিতে মরিয়া বাংলাদেশ অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে ইংলিশদের শক্তির কথা মাথায় রেখে নিয়েছে নতুন কৌশল।
বিশ্বকাপে এর আগে মোট তিনবার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড জিততে পেরেছে কেবল ২০০৭ সালে। বাকি দুটিতেই বাংলাদেশের বিখ্যাত জয়। তবে এবার ‘রক্ষণশীল’ মেজাজের সেই ইংল্যান্ড দল আর নেই। বর্তমানে ক্রিকেটবিশ্বে সবচেয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে তারা। শক্তির বিচারে তাই ঢের এগিয়ে ইয়ন মরগানরা। আগ্রাসী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের তরিকা তাই ‘রক্ষণশীল’ ক্রিকেট। মাশরাফি বলেছেন, তাদের বিপক্ষে রক্ষণই নাকি আসল আক্রমণ!
Comments