মাঠের আকৃতি আমাদের পক্ষে ছিল না: সাকিব

জনি বেয়ারস্টো আর জেসন রয়ের শুরু আর জস বাটলারের শেষের ঝড়। সাকিব আল হাসান মনে করেন এই জায়গায় ম্যাচ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তবে রয়, বাটলারদের ঠেকাতে না পারায় বোলারদের পাশাপাশি মাঠের আকৃতিকেও দায়ি করছেন তিনি।
Shakib Al Hasan
ছবি: রয়টার্স

জনি বেয়ারস্টো-জেসন রয়ের শুরু আর জস বাটলারের শেষের ঝড়। সাকিব আল হাসান মনে করেন, এই দুটি জায়গায় ম্যাচ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তবে রয়-বাটলারদের ঠেকাতে না পারায় বোলারদের পাশাপাশি মাঠের আকৃতিকেও দায়ী করছেন তিনি।

কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে এর আগে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই প্রেরণা নিয়ে নেমেও শনিবার (৮ জুন) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে দিয়ে ইংলিশদের ৩৮৬ রানের পাহাড় সহ্য করতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। ওই রান তাড়ায় জেতার মতো সামর্থ্য প্রমাণিত নয় বাংলাদেশের, দল যেতে পারেনি তার ধারেকাছেও।

ব্যাট করতে নামার আগেই তাই ম্যাচ অনেকটা হেরেই বসে বাংলাদেশ। তবে রান তাড়ায় ১১৯ বলে ১২১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে কিছুটা স্বস্তি দেন সাকিব। হেরে যাওয়ার ব্যাখ্যায় দলের সেরা পারফর্মার কিছুটা আত্মপক্ষ সমর্থন করেই জানালেন মাঠের আকৃতিই নাকি বিপাকে ফেলেছে তাদের, ‘দলের পরিকল্পনা তো থাকেই। কিন্তু যখন জস বাটলারের মতো কেউ ব্যাটিং করে তখন প্ল্যান এ, বি, সি , ডি কিছুই কাজ করে না। আর গ্রাউন্ডের আকৃতি যদি দেখেন, সোজা খুব ছোট। আমাদের যারা বোলার তারা কেউ ১৪০ কিলোমিটারে বল করে না, তারা আসলে স্লোয়ার বাউন্সার বা বাউন্সার করে। সাইড বাউন্ডারি (যেটা অনেক বড়) সেটা ব্যবহার করাতে পারবে না।’

‘আমাদের যারা বোলার আছে তাদের সোজা অনেক বেশি মারবে এটাই স্বাভাবিক। মাঠের আকৃতি অবশ্যই পক্ষে ছিল না। পরের ম্যাচ থেকে দেখতে হবে যে ধরনের কন্ডিশনই থাক, যে ধরনের আকৃতিই থাক, আমরা যেন মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলতে পারি।’

কার্ডিফের মাঠের সোজ বাউন্ডারি বেশ ছোট। তবে মিড উইকেট, এক্সট্রা কাভার আবার বেশ প্রশস্ত। সেখান দিয়ে এই ম্যাচে দৌড়ে চার রানও নিয়েছে ইংল্যান্ড। মাঠের আকৃতি নিয়ে সাকিবের ব্যাখ্যা ঠিক থাকলেও বাংলাদেশের বোলাররা অবশ্য কেবল সোজাই মার খাননি, উইকেটের চারপাশেই তাদের পিটিয়েছেন রয়, বাটলার, প্লাঙ্কেটরা। 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago