‘ফিল্ডিংয়ে অ্যাথলেটিসিজম আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে’
বোলিংয়ে বাংলাদেশ ছিল সাদামাটা। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের ক্ষিপ্রতায় পুষিয়ে দেওয়া যেত তার অনেকটাই। কিন্তু ফিল্ডিং হয়েছে আরও মলিন। সাকিব আল হাসান জানালেন, ফিল্ডিং নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ দলে ইংলিশদের মতো অ্যাথলেটিসিজমের অভাবও দেখছেন তিনি।
কার্ডিফে শনিবার (৮ জুন) আগে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে একদম শুরু থেকেই গড়বড় করতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ ওভারে বোলাররা চাপ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ওই সময় ফিল্ডাররা দিতে পারেননি প্রত্যাশিত সমর্থন। ইংল্যান্ডের পুরো ইনিংসে অন্তত দশ-বারোবার প্রথম সুযোগে বল ধরতে পারেননি ফিল্ডাররা। নড়বড়ে ভাব নিয়ে থাকায় তাদের দেখে মনে হয়েছে আত্মবিশ্বাসহীন।
দুই ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারি বেরিয়েছে, কে ডাইভ দেবেন সেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বেই হয়ে গেছে চার। ৩৮৬ রানের জায়গায় ইংল্যান্ডকে আরও ৪০ রান কম দিলে ম্যাচে সুযোগ থাকত বলে অভিমত সাকিবের।
বাড়তি ওই রান হওয়ার পেছনে যে ফিল্ডিংয়ের বড় দায় তা স্বীকার করে নিয়েও নিজেদের কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানালেন সাকিব, ‘এমনিতেও ফিল্ডিংটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে এরকম কন্ডিশনে, যেখানে কন্ডিশন পক্ষে না। আমরা যখন টপে থাকি ফিল্ডিং ভালো, যখন টপে থাকি না তখন ভুগতে হয়। ওই জিনিস নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সেটা বলার সঙ্গে এটাও বলতে হয় যে, আমাদের ফিল্ডাররা তো ওদের মতো এরকম অ্যাথলেট না। যদি বেন স্টোকস বলেন, তাদের মতো অ্যাথলেটিসিজম আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে।’
Comments