ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
ঈদের ছুটি উপভোগ করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে লোকজন। রোববার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ স্বাভাবিকভাবেই ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। বৈরী অবহাওয়ার মধ্যে পদ্মা নদী পাড়ি দিলেও প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। রয়েছে লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও।
শনিবার বিকেল থেকেই অবশ্য ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। রোববারও বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে এই নৌপথে ফেরি ও লঞ্চে পারাপার হয়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করেই নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। পদ্মা কিছুটা উত্তাল থাকার পরও লঞ্চ, সি-বোট ও ফেরি চলেছে অবিরাম। শিমুলিয়া লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখাযায় এ নৌ-রুটের ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে প্রায় সবগগুলোই যাত্রী পারাপারে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, খোদ লঞ্চ মালিক সমিতির নেতাদের লঞ্চেই ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চারগুণ যাত্রী ও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘাট থেকে ছেড়ে এসে মাঝ নদীতে অতিরিক্ত ভাড়া তুলে নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ভাড়া তো কাঁঠালবাড়ি ঘাটে কাটে না। মাঝ নদীতে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া কাটলে আমাদের কী করার আছে? তবুও যাদের যাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ পাব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আছে। যেসব লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী ও বাড়তি ভাড়া আদায় করবে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তা লিখে রাখবে।
শিমুলিয়া লঞ্চ পল্টুনে দাঁড়িয়ে কথা হয় লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সোলাইমাননের সঙ্গে। বেশ কয়েকটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া আদায়ের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমাদের পাড়ে (শিমুলিয়া) এগুলো করতে পারেনি। এখন কিছু বললেই ওপারের লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ বন্ধ করে দিবে। তারা খুবি শক্তিশালী।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খানকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ঈদের আগে আমাদের শিমুলিয়া ঘাটে তো কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারেনি। আমি শিবচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা এপারে যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
স্পিড বোটের ভাড়া জনপ্রতি ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অনেক যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। প্রায় ৫০০ স্পিড বোট চলাচল করছে এই রুটে।
এ নৌরুটের ১৮ টি ফেরিই এখন যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ব্যস্ত। যাত্রীরা বিভিন্ন নৌযানে করে শিমুলিয়া ঘাটে এসে বাসের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে বাসে উঠতে হচ্ছে তাদের।
Comments