বাইরের আলোচনা থেকে ড্রেসিংরুমকে আগলাতে চান অধিনায়ক
দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে শুরুর পর সমর্থকদের বাড়তি উচ্ছ্বাস বাস্তবে সেদিনই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছিলেন, মাত্রই একটা ম্যাচই জিতেছেন তারা। সামনে আছেন কঠিন পথ। কঠিনের দেখা মিলেছে দ্রুতই। পরের দুই ম্যাচ দল হেরে যাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত সেই সমর্থকরাই এখন সমালোচনায় উত্তাল। বাইরের এসব ঝাঁজ টের পেয়ে অধিনায়ক তার ড্রেসিংরুমকে সেই হাওয়া থেকে রক্ষা করতে চান।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে হারার পর তাও যা, ইংল্যান্ডের সঙ্গে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর একাদশে অমুক নেই কেন? তমুককে খেলানো হয়নি কেন? এসব তেতো কথার রব উঠছে বেশি। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৫২ ওয়ানডেতে ২৫১১ রান করেও নিস্তার পাচ্ছেন না তামিম ইকবাল। শুরুর তিন ম্যাচে রান না পাওয়ায় তাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে। প্রথম দুই ম্যাচে সাদামাটা বোলিং করায় প্রশ্ন উঠেছে অধিনায়ককে নিয়েও।
বাইরে কান খাড়া না করলেও এসব আওয়াজ পাচ্ছেন মাশরাফি। তবে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে দলের অন্দর মহলে এই আওয়াজ কোনভাবেই ঢুকতে দিতে চান না তিনি, ‘আমি সব কিছু সত্যিকার অর্থে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয় সবাই মানসিকভাবে ঠিক আছে। স্রেফ বাইরের আলোচনাগুলো..(প্রভাব ফেলছে) । বাইরের আলোচনা যেন ড্রেসিং রুমে না যায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো সবাই আবেগী অনেক। রাতারাতি সব কিছু চাওয়া পাওয়া জানাতে পছন্দ করি। এটা খেলোয়াড়দের ভেতরও আছে।’
‘প্রত্যেক ম্যাচেই ভাল করতে হবে, ভাল যেতে হবে। রিয়াদ যেভাবে ব্যাট করে সব ম্যাচেই এভাবে করতে হবে। তামিমও কিন্তু এই প্রত্যাশা নিয়েই যায়।’
খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রত্যাশা আছে। সে অনুযায়ী বিফল হলে তাদের নিজেদের ভেতরের তাদিগও আছে, চাপ তো থাকেই। কিন্তু সমর্থকদের চাপকে বেশি ভয় অধিনায়কের। ড্রেসিংরুম পর্যন্ত মানুষের তেতো কথা কোনভাবেই ঢুকতে দিতে চান না তিনি, ‘এই আওয়াজ (মানুষের সমালোচনার) যেন ড্রেসিং রুমে না যায়। দিনশেষে চাপটা পড়ে। কাজেই এসব থেকে ওরা যত দূরে থাকতে পারবে আরও বেশি দিতে পারবে।’
Comments