নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ছাদে হয় লাশের ময়নাতদন্ত
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্থায়ী কোনো মর্গ নেই। জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে লাশ রাখার ব্যবস্থাও নেই। এ অবস্থায় হাসপাতালের ছাদেই চলছে লাশের কাটাছেঁড়া।
সরজমিনে দেখা যায় ময়নাতদন্তের জন্য আনা লাশ ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের তিন নম্বর ওয়ার্ডের পাশে রাখা হয়। এতে করে অপঘাতে নিহত লাশের দুর্গন্ধে প্রায়ই হাসপাতাল ও এলাকার পরিবেশ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
জানা যায়, হাসপাতালের গোড়াপত্তনের পর থেকে জেলা কারাগার সড়কের পাশের একটি কাঁচা ঘরকে মর্গ হিসেবে ব্যাবহার করা হতো। সে মর্গটি দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেটি এখন আর ব্যবহার করে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় হাসপাতালের ছাদের ওপর ত্রিপল দিয়ে ঘিরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে করা হচ্ছে লাশের ময়নাতদন্ত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এখানে ২১৭টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য প্রতি মাসে গড়ে ২০-২৫টি লাশ আসে। হাসপাতালের নিজস্ব কোনো ডোম নেই। নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের দুইজন ডোম এসে লাশ কাটার কাজ করেন এখানে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম এ অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে জানান, পুরনো লাশ কাটা ঘরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় অস্থায়ীভাবে ছাদের ওপরে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের পেছনে নতুন করে মর্গ নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে এর নির্মাণের কাজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান জানান, জেনারেল হাসপাতালের লাশ কাটা ঘর নির্মাণের জন্য ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
Comments