দরিদ্র মানুষের তালিকায় লাখপতি-কোটিপতিরা
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচী ২০১৮-২০১৯ এর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণের উপকারভোগীদের নামের তালিকায় লাখপতি থেকে শুরু করে কোটিপতিদের নাম পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পিআইও দপ্তর কর্তৃক কাবিটা বরাদ্দ হতে উপজেলায় ১৭টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। তালিকা যাচাই-বাছাই না করেই ১৩ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান এই তালিকা অনুমোদন করেছেন। সেই অনুমোদনকৃত তালিকায় ১৭টি পরিবারের মধ্যে ৫টি পরিবার ছাড়া সবাই লাখপতি থেকে শুরু করে কোটিপতি ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম হলেন ১নং আটগাঁও ইউপি’র ফরিদপুর (মামুদনগর) গ্রামের আবু নছর মিয়ার বিত্তশালী ছেলে মতিউর রহমান। তিনি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদের জামাতা।
একই গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে ইয়াহিয়া আলম, উজান ইয়ারাবাদ গ্রামের উকিল আলীর ছেলে কোটিপতি সালাম মিয়া ও ইউপি সদস্য বশির মিয়ার আপন ভাই আব্দুল হামিদ, বাহাড়া ইউপি’র ডুমরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অভিমূন্য দাসের ছেলে চিন্ময় দাস, মেঘনাপাড়া গ্রামের প্রাণধন দাসের স্ত্রী শ্রীমতি বালা দাস, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী ইমরানা বেগম অন্যতম।
আবার হবিবপুর ইউপি’র আনন্দপুর গ্রামের হামিদ মিয়ার স্ত্রী হোসেনা বেগমের কোনো জমি নাই, তার নাম দিয়ে আপন ভাসুরের ছেলে ধনী ব্যক্তি হুমায়ুন মিয়ার পিতার জায়গায় নতুন ঘরটি তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আনন্দপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার ফুফু অসহায় গরিব মহিলা মমিনা বেগম বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গত ৩ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
পিআইও আজিজুর রহমান অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, “তালিকা তৈরি করার সময় সঠিকভাবে যাচাই না করার ফলে একটু ত্রুটি হয়েছে। পুনরায় যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করা হবে।”
Comments