আমিরের তোপে এমন ম্যাচেও অসিদের গুটিয়ে দিল পাকিস্তান
শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। ২২ ওভারে আসে ১৪৬ রানের ওপেনিং জুটি। কিন্তু এরপর যেন রুদ্ররূপ ধারণ করেন মোহাম্মদ আমির। তার বোলিং তোপে উল্টো অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অথচ লক্ষ্যটা এক পর্যায়ে হয়েছে সাড়ে তিনশ কিংবা তার বেশি হতে যাচ্ছে। সেখানে এক ওভার থাকতেই ৩০৭ রানেই অসিদের গুটিয়ে দিল পাকিস্তান।
আনপ্রেডিক্টেবল শব্দটা এ কারণেই পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে আছে। যখন তখন যে কোন কিছুই করতে পারে তারা। এমন বিবর্ণ শুরুর পর কি দারুণ ফিনিশিং। আর তার নেতা আমির। যিনি কিনা শুরুতে বিশ্বকাপের দলেই ছিলেন না। দারুণ বোলিং করেছেন ওয়াহাব রিয়াজও। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ফিল্ডিং মিসের মিছিলে যোগ না দিলে হয়তো পেতেন একাধিক উইকেট। এ পেসারও ছিলেন না শুরুর স্কোয়াডে।
এদিন টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। কিন্তু তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন অসি দুই ওপেনার। প্রিয় প্রতিপক্ষর বিপক্ষে আরও একটি হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। আর আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার তো তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর দারুণ ছন্দে আছেন এ ক্রিকেটার।
অসিদের উড়ন্ত সূচনা এদিন থামিয়েছিলেন আমিরই। আর জুটি ভাঙতেই তাদের চেপে ধরেন তিনি। আমিরের সঙ্গে তখন পাকিস্তানের বাকী বোলাররাও তোপ দাগান। ফলে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়তে থাকে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার। ১১১ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ১৫তম সেঞ্চুরি। ৮৪ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ। চলতি বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলে তার পাঁচটিতেই করলেন পঞ্চাশের বেশি রান। এ দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কোন কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ রানটি মাত্র ২৩ রানের। এসেছে মার্কাস স্টয়নিসের ইনজুরিতে সুযোগ পাওয়া শন মার্শের ব্যাট থেকে।
মাত্র ৩০ রানের খরচায় এদিন ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছে আমির। অধিনায়ক ফিঞ্চ ছাড়াও মার্শ, উসমান খাওজা, অ্যালেক্স কারি ও মিচেল স্টার্কের উইকেট নেন তিনি। ২টি উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ৫/৩০, আফ্রিদি ২/৭০, হাসান ১/৬৭, ওয়াহাব ১/৪৪, হাফিজ ১/৬০, মালিক ০/২৬)।
Comments