ওয়ালশের কাছে গতিই সব নয়
জোফরা আর্চার, লুকি ফার্গুসেনরা বিশ্বকাপে গতির ঝড় তুলছেন। গতিতে মাত করতে ভারতে আছেন জাসপ্রিট বোমরাহ, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান টমাস। সেই তুলনায় বাংলাদেশের পেসাররা যেন সবাই মন্থর গতির বোলার। তবে এতেই ঘাবড়ে যাওয়ার কারণ দেখছেন না ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসারদের একজন কোর্টনি ওয়ালশ। তার কাছে গতির চেয়েও প্রাধান্য পায় নিয়ন্ত্রণ, ধারাবাহিকতা, বৈচিত্র্য আর প্রয়োগ।
ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে পেসারদের ভূমিকাটা বেশ বড়। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পেসাররা ছিলেন খারাপ করেননি। তবে স্পিনাররাই নিয়েছেন বড় ভূমিকা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তো সবাই মিলেই মার খেয়েছেন। বিশ্বকাপের বাকি সময় পেসারদের রাখতে হবে বড় ভূমিকা।
দলে এক্সপ্রেস গতির কোন বোলার নাই। এটা একটা ঘাটতির জায়গা থাকলেও এতেই সব শেষ যাওয়ার মতো কিছু মনে হয় না ওয়ালশের, ‘গতি অনেক সময় দরকার কিন্তু আমার কাছে ধারাবাহিকতা, নিয়ন্ত্রণ আর প্রয়োগ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি ১৪০-১৫০ গতি না থাকে, তবে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে।’
‘আমাদের অবশ্যই ধারাবাহিক হতে হবে। ঠিক জায়গায় বল ফেলে বৈচিত্র্য আনতে হবে। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। কিন্তু আপনার খারাপ ম্যাচ আসতেই পারে। ধারাবাহিকতাই আমাদের মূল মন্ত্র। এবং সেইসঙ্গে বৈচিত্র্যটাও দরকার।’
বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত ছাপ রাখার মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। তার কাছ থেকে বৈচিত্র্যময় পারফরম্যান্স পাওয়ার আশা ওয়ালশের। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার বুদ্ধির জোর আর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, রুবেল হোসেনদের ধারাবাহিকতা, প্রয়োগে আস্থা রাখতে চান বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ।
Comments