ট্যাঙ্কারে হামলার ঘটনায় ইরান দায়ী, সমুদ্রপথ ঝুঁকিমুক্ত: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বলেছেন, ওমান উপসাগরে তেলবাহী দুটি ট্যাঙ্কারে রহস্যজনক হামলার ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে ইরান দায়ী। ‘এ হামলায় ইরান কোনোভাবে জড়িত না’ তেহরানের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে দায়ী করলো ট্রাম্প। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তাদের মধ্যে সংঘাত বেঁধে গেলে ‘ইরান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তেল সরবরাহ পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে’ তেহরানের আগের এমন হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন সামরিক বাহিনী একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প জোরালোভাবে বলেন, “ওই ভিডিও ফুটেজে ট্যাঙ্কারগুলোর একটি থেকে অবিস্ফোরিত একটি মাইন ইরানের টহল নৌযানকে সরিয়ে ফেলতে দেখা যাচ্ছে। মাইনটি জাহাজের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিলো।”
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, “ইরান এটা করে। আপনারা জানেন তারাই এটি করেছে, কারণ আপনারা নৌযানটি দেখেছেন। আমি ধারণা করছি মাইনগুলোর একটি বিস্ফোরিত হয়নি। আর এটি তাদের সরিয়ে ফেলা জরুরি ছিলো, কারণে এতে ইরানের নাম থাকতে পারে। এতে প্রমাণিত হয় যে এ হামলার ঘটনায় তেহরান পুরোপুরি জড়িত রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা দেখেছেন নৌযানটি রাতে মাইনটি খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং এ কাজে তারা সফলও হয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ টুইটার বার্তায় বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রমাণ ছাড়াই এ হামলার ব্যাপারে তড়িঘড়ি করে তেহরানকে দায়ী করে।”
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ হামলার ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, “এ ঘটনার সত্যটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারেমি হান্ট বলেন, “তাদের দেশেরও ধারণা যে, এ হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে এবং এটা প্রায় নিশ্চিত।”
লন্ডন বৃহস্পতিবারের এ হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ডকে দায়ী করেছে। এটি ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি বৃহত্তম ও শক্তিশালী শাখা।
Comments