বিশ্বকাপে আবারো পাকিস্তানকে হারাল ভারত

ম্যাচ থেকে পাকিস্তান ছিটকে গিয়েছিল আগেই। তবুও ক্রিকেট বলেই আশাটা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পড়ে যে লক্ষ্য দাঁড়ায় সেটা করতে অবিশ্বাস্য নাটকীয় কিছু করতে হতো পাকিস্তানের। তা হয়নি। এক পেশে ম্যাচে সহজেই জিতে গেছে ভারত। ফলে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের শতভাগ রেকর্ড ধরে রাখল দলটি।
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ থেকে পাকিস্তান ছিটকে গিয়েছিল আগেই। তবুও ক্রিকেট বলেই আশাটা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পড়ে যে লক্ষ্য দাঁড়ায় সেটা করতে অবিশ্বাস্য নাটকীয় কিছু করতে হতো পাকিস্তানের। তা হয়নি। এক পেশে ম্যাচে সহজেই জিতে গেছে ভারত। ফলে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের শতভাগ রেকর্ড ধরে রাখল দলটি।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ১৩ রানে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ইমাম-উল-হককে হারায় দলটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছেন ফখর জামান ও বাবর আজম। ১০৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই সব শেষ হয়ে যায় তাদের। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলটির। এরপর স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান যোগ দিতে ৫টি উইকেট হারালে ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে যায় পাকিস্তান। এরপর ম্যাচে নামে বৃষ্টি। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে।

বৃষ্টির আগে ৩৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করেছিল পাকিস্তান। নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। অর্থাৎ শেষ পাঁচ ওভারে রান নিতে হতো ১৩৬ রান। ওভার প্রতি ২৭ এরও বেশি। ম্যাচের ফলাফল তো তখনই নির্ধারণ হয়ে যায়। শেষ পাঁচ ওভারে পাকিস্তান রান তুলতে পেরেছে ৪৬টি। ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১২ রান করে থামে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ফখর। ৭৫ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৫৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন বাবর। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের ৪৬ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, বিজয় শঙ্কর ও কুলদিপ যাদব।

এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ক্ষুরধারহীন বোলিংয়ে শুরু থেকেই বিবর্ণ তারা। সুযোগ যা এসেছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভুল বোঝাবুঝিতে। তাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। তবে দারুণ ব্যাটিং করেছেন ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ওপেনিং জুটিতেই করেন ১৩৬ রান।

রাহুলকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রোহিতের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। স্কোর বোর্ডে ৯৮ রান যোগ করেন তারা। এরপর হাসান আলির বলে স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন রোহিত। তবে আউট হওয়ার আগে আরও একটি সেঞ্চুরি তুলেছেন তিনি। ১১৩ বলে করেছেন ১৪০ রান। ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

ক্যারিয়ারে এটা রোহিতের ২৪তম সেঞ্চুরি। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটসম্যান শেষ পাঁচটি ইনিংসেই করেছেন পঞ্চাশোর্ধ রান। যার দুটি নিয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। মাত্র ৩৪ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন রোহিত। এরপর সেঞ্চুরি তুলতে বল খেলেন ৮৫টি। তবে ব্যক্তিগত ৩২ ও ৩৮ রানে দুই দুইবার রান আউট করার সহজ সুযোগ দিয়েছিলেন রোহিত। একবার তো দুই ব্যাটসম্যানই এক প্রান্তে ছিলেন। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তানিরা।

রোহিতের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ড লম্বা করার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে করেন ৫১ রানের জুটি। এরপর অবশ্য আমিরের তোপে পড়ে দলটি। দ্রুত পান্ডিয়া ও সাবেক অধিনায়ক এমএস ধোনিকে হারায় তারা। খুব বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি অধিনায়কও।

৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ৪৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন আমির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রাহুল ৫৭, রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, পান্ডিয়া ২৬, ধোনি ১, শঙ্কর ১৫*, কেদার ৯*; আমির ৩/৪৭, হাসান ১/৮৪, রিয়াজ ১/৭১, ইমাদ ০/৪৯, সাদাব ০/৬১, মালিক ০/১১, হাফিজ ০/১১)।

পাকিস্তান: ৩৫ ওভারে ১৬৬/৬ (ইমাম ৭, ফখর ৬২, বাবর ৪৮, হাফিজ ৯, সরফরাজ ১২, মালিক ০, ইমাদ ৪৬*, সাদাব ২০*; ভুবনেশ্বর ০/৮, বুমরাহ ০/৫২, শঙ্কর ২/২২, পান্ডিয়া ২/৪৪, কুলদিপ ২/৩২, চাহাল ০/৫৩)।

ফলাফল: বৃষ্টি আইনে ভারত ৮৯ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোহিত শর্মা (ভারত)।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago