জামাই-শ্বশুর-শ্যালকের ইয়াবা চোরাকারবারি চক্র

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পারিবারিক ইয়াবা ব্যবসার চক্র খুঁজে পেয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। চক্রের তিন সদস্য জামাই মো. আবদুর রহিম রাজু (৩০), শ্বশুর মো. ইউসুফ (৫০) ও রহিমের শ্যালক মো. আয়াছ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুর ও মেয়ের জামাইকে। শ্যালক এখনও পলাতক।
Ctg yaba family
১৬ জুন ২০১৯, চক্রের তিন সদস্যের মধ্যে জামাই মো. আবদুর রহিম রাজু ও শ্বশুর মো. ইউসুফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্যালক এখনও পলাতক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পারিবারিক ইয়াবা ব্যবসার চক্র খুঁজে পেয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। চক্রের তিন সদস্য জামাই মো. আবদুর রহিম রাজু (৩০), শ্বশুর মো. ইউসুফ (৫০) ও রহিমের শ্যালক মো. আয়াছ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুর ও মেয়ের জামাইকে। শ্যালক এখনও পলাতক।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন জানিয়েছেন, আয়াছকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গতকাল রাত ৯টার দিকে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকার বাগদাদ হোটেলের গলির সামনে থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৬৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে ইউসুফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহর থেকে রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন জানিয়েছে, আয়াছ কক্সবাজারের টেকনাফে এনজিওতে চাকরি করার আড়ালে ইয়াবা পাচার করে চট্টগ্রামে তার ভগ্নীপতি সিএনজি অটোরিকশা চালক রহিমকে সরবরাহ করে। এ কাজে বাহক হিসেবে কাজ করে ইউসুফ।

জামাই-শ্বশুর-শ্যালক মিলেমিশে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা চোরাকারবার করে আসছে।

ইউসুফ ও রহিমকে গ্রেপ্তারের পর ওসি মহসীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন-

“কিছু ছবি লজ্জিত করে, ব্যথিত করে, বিব্রত করে। এ ছবিটি তেমনই...সম্পর্কে তারা শ্বশুর-জামাই। শ্বশুর ট্রলারে চাকরি করেন আর জামাই সিএনজি চালান। জামাই রহিমের জন্য ইয়াবা পাঠান তার স্ত্রীর ভাই আয়াছ। আর বাহক হিসেবে পাঠানো হয় শ্বশুর ইউসুফকে। সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ২০ হাজার টাকাও দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু, পাচারের আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুর-জামাই দুজনকে।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago