সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশে বিস্তর তফাৎ দেখেন অ্যামব্রোস
ঢিলেঢালা প্যান্টের সঙ্গে হলুদ রঙের অতি সাধারণ এক জার্সি পরে হাঁটছিলেন কার্টলি অ্যামব্রোস। উচ্চতার জন্যই তাকে আলাদা করে চোখে পড়ে। না হলে অতি সাধারণ আবরণের অ্যামব্রোস যে ব্যাটসম্যানদের ঘুম হারাম করে দেওয়া আতঙ্ক ছিলেন, তা বোঝার উপায় কি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ‘নাইট’ উপাধি পাওয়া ক্যারিবিয়ান এই কিংবদন্তিকে আমন্ত্রন জানিয়েছিল আইসিসি। যে দুদলের খেলা দেখতে এসেছেন তাদের বর্তমান আর অতীত একেবারেই বিপরীতমুখি।
তার খেলোয়াড়ি জীবনে মাঠে নামলেই প্রতিপক্ষের সহজ শিকার হতো বাংলাদেশ। ‘হার’ জেনে নিয়েই যেন তখন মাঠে নামা বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে এখন কেমন দেখছেন? প্রশ্ন থামার আগে মুখে বিস্ময় ফুটিয়ে জবাব, ‘তাদের ক্রিকেট আসলে অনেক উন্নতি করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন তারা খেলতে এসেছিল সবাই তাদের হারাত। আর এখন অনেক অনেক ভালো দল। বলতে পারি পরিপূর্ণ দল। বিশেষ করে ওয়ানডেতে। তাদের বিপক্ষে নেমেই আর জেতা যায় না। গত ৯ ম্যাচে তারা তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাতবারই হারিয়েছে তারা। এতে বোঝা যায় তারা কতটা এগিয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই আছে অনেকটা খাদের কিনারে। এই ম্যাচ হারলে কেউ বাদ পড়ে যাচ্ছে না এখনি, তবে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ দুদলেরই হয়ে যাবে কঠিন। দুদলের কাছেই তাই ম্যাচটি বাঁচা-মরার। বিশেষজ্ঞদের কথা মেনে টেবিলের উপরে থাকা চার দলকে এগিয়ে রাখলেও অ্যামব্রোস চাইছেন কিছু একটা অঘটন হোক সেরা চারে, বিশ্বকাপ হয়ে উঠুক রোমাঞ্চকর, ‘এই মুহূর্তে তাদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজের) সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ কঠিন। বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ তাদের জিততেই হবে বড় ব্যবধানে। এরপর পরের ম্যাচগুলোও জিততে হবে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেরা চার দল হবে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এদেরই সবাই প্রত্যাশা করে। বিশ্বকাপ রোমাঞ্চকর হতে আমি কিছুটা অঘটন চাইব এখানে।’
অ্যামব্রোস মনে করছেন চমক অপেক্ষা করছে আরও, ‘আবহাওয়া একটা ভূমিকা নিতে পারে। আবার পেছন থেকে (বাংলাদেশের মতো) কেউ উঠে যেতে পারে। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজও। আপনি বলতে পারেন না।’
(কার্টলি অ্যামব্রোসের পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাতকার পড়তে চোখ রাখুন দ্য ডেইলি স্টারে)
Comments