‘জিতলেও ওরা আমাদের আমন্ত্রণ জানাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই’

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার হয়ে হয়েছে ১৯ বছর। এই সময়ে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সফরে যাওয়া হয়েছে কেবল একবার। যখনই এফটিপিতে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় এসেছে, বেঁকে বসেছে তারা। আমন্ত্রণ জানাতে চায়নি বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে অসিদের হারালেও সেই মানসিকতা বদলের সম্ভাবনা দেখেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বাংলাদেশের বর্তমান দলের কেবল মাশরাফিরই আছে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সালে সেবার অচেনা ভেন্যু ডারউইন ও কেয়ার্নসে দায়সারা দুই টেস্টের সূচি ছিল। এরপর আর কখনই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলতে যেতে পারেনি বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামার আগের দিন সেদেশেরই এক সাংবাদিক জানতে চাইলেন, এমন তাচ্ছিল্যের কাটাতে বাংলাদেশের এই ম্যাচে কিছু প্রমাণের আছে কিনা। তাতে নেতিবাচক জবাব বাংলাদেশ অধিনায়কের,   ‘আমার মনে হয় না তাদের বিপক্ষে আর প্রমাণের কিছু আছে। তবে হ্যাঁ, এরকম বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলতে না পারা দুর্ভাগ্যজনক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জায়গায় খেললে অনেক কিছু শেখা যায়।’

‘অস্ট্রেলিয়ায় আমরা টেস্ট খেলেছি বহু বছর আগে। সেই দলে আমি ছিলাম। এতদিন ধরে একটি দেশে সফরে যেতে না পারা টেস্ট খেলুড়ে দেশের জন্য হতাশার। তবে আমি নিশ্চিত নই যে কালকে জিতলেই সমস্যার সমাধান হবে কিনা। দুই দেশের বোর্ড কথা বললে হয়তো হতে পারে।’

বিশ্বকাপের ম্যাচে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হওয়া, না হওয়া নিয়েো মাথা ঘামাতে চান না মাশরাফি। বরং বিশ্বকাপে পরের ধাপে যাওয়ার পথ ঘিরেই সকল চিন্তাকে রাখতে চান একাগ্র, ‘কালকে আমরা যখন মাঠে নামব, অবশ্যই ওরা আমাদের  সফরে ডাকবে কিনা এসব মাথায় থাকবে না। কেবল ভাবনায় থাকবে যে দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে, বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হবে। বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে যে আমরা উন্নতি করছি। আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো দল। অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh races to expand air cargo capacity

In a first move to address the shortfall, Sylhet's Osmani International Airport is set to launch dedicated cargo operations today

9h ago