রানের পাহাড় তাড়ায় লড়াই করে হারল বাংলাদেশ

ছবি: রয়টার্স

৪০ ওভার পর্যন্ত সমান তালেই লড়াই করেছেন টাইগাররা। পিছিয়ে ছিলেন ৫ রানে। করলেন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংস। কিন্তু তারপরও যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। কারণ শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি কেউ। ফলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানেই হেরেছে টাইগাররা। তাতে শেষ চারের সমীকরণ বেশ কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য।

এমন লক্ষ্য তাড়ায় প্রয়োজন ছিল উড়ন্ত সূচনার। সৌম্যর রানআউটে হয়নি। আশা জাগিয়েও এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। তবে এক প্রান্তে দারুণ লড়াই করেছেন মুশফিকুর রহিম। করেছেন সেঞ্চুরি। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সবমিলিয়ে ৩৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি।

শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ১০২ রানে অপরাজিত থেকেছেন মুশফিক। ৯৭ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। এছাড়া তামিম ৬২ ও মাহমুদউল্লাহ ৬৯ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস ও নাথান কোল্টার-নাইল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাওজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, ক্যারি ১১*; মাশরাফি ০/৫৬, মোস্তাফিজ ১/৬৯, সাকিব ০/৫০, রুবেল ০/৮৩, মিরাজ ০/৫৯, সৌম্য ৩/৫৮)।

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/৮ (তামিম ৬২, সৌম্য ১০, সাকিব ৪১, মুশফিক ১০২*, লিটন ২০, মাহমুদউল্লাহ ৬৯, সাব্বির ০, মিরাজ ৬, মাশরাফি ৬; স্টার্ক ২/৫৫, কামিন্স ০/৬৫, ম্যাক্সওয়েল ০/২৫, কোল্টার-নাইল ২/৫৮, স্টয়নিস ২/৫৪, জাম্পা ১/৬৮)।

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)।

মুশফিকের সেঞ্চুরি

শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করছিলেন মুশফিকুর রহিম। মাঝে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন তিনি। তবে শেষদিকে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তিনি। তবে তুলে নিয়েছেন নিজের সেঞ্চুরি। ৯৫ বলে স্পর্শ করেছেন নিজের সেঞ্চুরি। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। তৃতীয় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক। ওয়ানডে ক্যারিয়ার এটা তার সপ্তম সেঞ্চুরি।

৪৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩২৬ রান। ১০০ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। নতুন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাট করছেন ১ রানে।  

স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার মিরাজ

মিচেল স্টার্কের ঠিক করতে গিয়েছিলেন হয়তো নিজেই জানেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলে ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে লেগে মিডঅনে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে তুলে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। ৭ বলে ৬ রান করেছেন মিরাজ।

প্রথম বলেই শেষ সাব্বির

দলের খুব প্রয়োজনীয় সময়ে ব্যাটিং নেমেছিলেন সাব্বির রহমান। চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ। আগের বলেই ফিরে গেছেন দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দলকে হতাশা উপহার দেওয়া কিছুই করতে পারেনি তিনি। নাথান কোল্টার-নাইলের বল ঠেকাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি।

৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০৪ রান। মুশফিক ৮৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আশা জাগিয়ে ফইরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ

দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশের আশাটা জিইয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। নাথান কোল্টার-নাইলের বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন প্যাট কামিন্সের হাতে। ভাঙে ১২৭ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৬৯ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। 

বাংলাদেশের দলীয় তিনশ

মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ জুটিতে অসিদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দলীয় স্কোর পার হয়েছে তিনশ রানের। ২৭০ বলে এসেছে টাইগারদের দলীয় তিনশ। প্রথম একশ রান এসেছিল ১০৬ বলে। দ্বিতীয় একশ আসে ৯৮ বলে। তবে তৃতীয় একশরান এসেছে বেশ দ্রুত গতিতে। ৬৬ বলে।

৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০০ রান। মুশফিক ৮৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৬৭ রানে ব্যাট করছেন।

মাহমুদউল্লাহর ফিফটি

লক্ষ্যটা এখনও বহুদুর। বেশ কঠিন। দুরূহ লক্ষ্যে দারুণ ব্যাট করছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৪১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব রান, ক্যারিয়ারের ২১তম। নাথান কোল্টার-নাইলের বলে চার মেরেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৮৯ রান। মুশফিক ৮১ ও মাহমুদউল্লাহ ৮১ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে এখনও ৩৬ বলে করতে হবে ৯৩ রান।  

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে একশ

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের স্বপ্নটা ধরে রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। এ দুই ব্যাটসম্যান এর মধ্যেই গড়েছেন শতরানের জুটি। ৮৩ বলে এসেছে এ জুটির একশ। তাতে মুশফিকের অবদান ৪৪ ও মাহমুদউল্লাহর ৪৭ রান।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭৭ রান। মুশফিক ৮০ ও মাহমুদউল্লাহ ৪৮ রানে ব্যাট করছেন। জিততে বলে বাকী ৪২ বলে ১০৫ রান করতে হবে টাইগারদের। 

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে পঞ্চাশ

মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে বাংলাদেশ। যদিও রানের গতি আশানুরূপভাবে বাড়াতে পারেননি। তবে লড়াই করে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই জুটিতে পার করেছে পঞ্চাশ রানের কোটা। ৫০ বলে আসে তাদের জুটির ফিফটি। তাতে মুশফিকের অবদান ৩১ ও মাহমুদউল্লাহ ১৯ রান।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৬ রান। মুশফিক ৬৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১৯ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে এখনও ১৫৬ রান করতে হবে টাইগারদের।

মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি

বাংলাদেশ দলের স্বপ্নটা টিকিয়ে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটে নেমে সাবলীলভাবে ব্যাটিং করছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৫৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার ফিফটি স্পর্শ করেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি, আর ক্যারিয়ারে ৩৫তম।

৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৬ রান। মুশফিক ৫৮ ও মাহমুদউল্লাহ ১৭ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় দুইশ

টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে পার হয়েছে দুইশ রানের কোটা। ৩৪ ওভারে (২০৪ বলে) এসেছে বাংলাদেশের দলীয় দুইশত রান। প্রথম একশ রান এসেছিল ১০৬ বলে।

৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০১ রান। মুশফিক ৪৬ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানে ব্যাট করছেন।

এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরে গেলেন লিটন

সাকিব-তামিমের বিদায়ে চাপে পড়া দলের হাল মুশফিকের সঙ্গে ধরেছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার ফ্লিপারে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন। ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। আম্পায়ার্স কলে আউট হন তিনি। ১৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২০ রান করেছেন লিটন।

৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৭ রান। মুশফিক ব্যাট করছেন ৩৫ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।

ফিরে গেলেন তামিমও

শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ব্যাট করছিলেন তামিম ইকবাল। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করে ফিফটিই তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ফিরলেন সাজঘরে। মিচেল স্টার্কের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেছেন ৬২ রান। দলীয় ১৪৪ রানে পড়ে টাইগারদের তৃতীয় উইকেট।

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৬ রান। ২৪ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন লিটন কুমার দাস।

তামিমের ফিফটি

লক্ষ্যটা বড় হলেও বেশ রয়েসয়ে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন তিনি। এর মধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন এ ওপেনার। তবে কিছুটা ধীর গতিতে। ৬৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এসেছে তার হাফসেঞ্চুরি। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম হাফসেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে ফিফটি থেকে ২ রান আগে রানআউট হয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটা তার ৪৭তম হাফসেঞ্চুরি।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২০ রান। তামিম ৫১ ও মুশফিক ১১ রানে ব্যাট করছেন।

স্টয়নিসের বলে আউট সাকিব

লক্ষ্যটা বিশাল। তাই শুরু থেকেই হাত খুলে মারছিলেন সাকিব আল হাসান। তার ব্যাটেই স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কারণ চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন। কিন্তু তার বিদায়ে হতাশা নেমেছে টাইগার শিবিরে। মার্কাস স্টয়নিসের স্লোয়ারে মিডঅফে ধরা পড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে। ভাঙে ৭৯ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪১ রান করেছেন সাকিব।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৫ রান। ৪৫ রানে ব্যাট করছেন তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।

বাংলাদেশের দলীয় একশ

শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। তবে উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে ব্যাট করছেন ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান। তাদের জুটিতে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই দলীয় শতরান পার করেছে দলটি। ১৭.৪ ওভারে (১০৬ বলে) এসেছে দলের শতরান। ৫৯ বলে প্রথম পঞ্চাশ রান করেছিল বাংলাদেশ।

১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০২ রান। সাকিব ৪১ ও তামিম ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিব-তামিম জুটিতে পঞ্চাশ

সৌম্যর বিদায়ের পর তামিম ইকবালের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন সেরা ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান। এখন পর্যন্ত দারুণ খেলছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যেই তাদের জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান। ৫৪ বলে এসেছে এ জুটির ফিফটি। তাতে সাকিবের অবদান ৩০ রান। এ জুটিতে ১৯ রান করেছেন তামিম।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯১ রান। সাকিব ৩৮ ও তামিম ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ

ভুল বোঝাবুঝির খেসারৎ দিয়ে প্রায় শুরুতেই ফিরে গেছেন ড্যাশিং ওপেনার সৌম্য সরকার। তাই রানের গতিতেও লেগেছে লাগাম। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে দলের ফিফটি পূরণ হয়েছে।  ৯.৫ ওভারে (৫৯ বলে) এসেছে দলীয় হাফসেঞ্চুরি।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১ উইকেটে ৫৩ রান। সাকিব ১৩ ও তামিম ২৩ রানে ব্যাট করছেন।

রানআউট হয়ে ফিরলেন সৌম্য

মিডঅনে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সৌম্য অপর প্রান্তে সাড়া দেননি। তামিমকে এগিয়ে আসতে দেখে রান নিতে যান। তখন আবার সৌম্যকে না বলে ফিরে আসেন তামিম। কিন্তু সৌম্য আর ফিরতে পারেননি। অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের দারুণ থ্রোতে রানআউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য, প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আউট হওয়ার আগে ৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেছেন সৌম্য।

৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান। ৮ রানে ব্যাট করছেন তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।

জিততে হলে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড করতে হবে টাইগারদের

৩৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য তাড়া করে জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। কারণ বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে জেতেনি আর কেউ। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের তোলা ৩২৭ রান তাড়া করে জিতে রেকর্ড গড়েছিল আয়ারল্যান্ড।

৩৮১ রানের পাহাড় গড়ল অস্ট্রেলিয়া

যেভাবে ব্যাটিং করছিল অস্ট্রেলিয়া তাতে আসরের প্রথম চারশ রান মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে শেষদিকে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন টাইগাররা। তাতে রানের গতিতে কিছুটা লাগাম দিতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু তার আগেই ৩৮১ রানের বিশাল পাহাড় গড়েছে অসিরা। যেটা তাড়া করতে হলেও বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।

সৌম্য সরকার ছাড়া বাংলাদেশের কোন বোলারই এদিন অসিদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি। ৩টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। নিয়মিত বোলাররা বেদম পিটুনি খেয়েছেন। যদিও ইনিংসের শুরুতে ভালো করেছিলেন তারা। তবে শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করে ধীরে ধীরে হাত খুলে রানের পাহাড়ই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। আর তার মূল অবদান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের। একাই করেছেন ১৬৬ রান। উসমান খাওজাও খেলেন কার্যকরী ৮৯ রানের ইনিংস। এছাড়া অধিনায়ক ফিঞ্চ ৫৩ ও ম্যাক্সওয়েল মাত্র ১০ বলে ৩২ রান করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাওজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, ক্যারি ১১*; মাশরাফি ০/৫৬, মোস্তাফিজ ১/৬৯, সাকিব ০/৫০, রুবেল ০/৮৩, মিরাজ ০/৫৯, সৌম্য ৩/৫৮)।

বৃষ্টি শেষে আবার খেলা শুরু

৪৯ ওভারের পর হঠাৎ বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বন্ধ থাকে। তবে মিনিট পাঁচ পরই থেমে যায় বৃষ্টি। এর পাঁচ মিনিট পরই ঝলমলে রোদও ওঠে। কভার সরিয়ে আবার শুরু হচ্ছে খেলা। শেষ ১ ওভার খেলার জন্য মাঠে নামছে অসিরা।

বৃষ্টির আগে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারি ৯ ও মার্কাস স্টয়নিস ৬ রানে ব্যাট করছেন।

ট্রেন্টব্রিজে 'পাসিং শাওয়ার'

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৪৯তম ওভারে হঠাৎই বৃষ্টির ঝাপটা। তাতে ইনিংসের এক ওভার আগেই খেলা থামাতে হয়। সেই বৃষ্টি অবশ্য মিনিট পাঁচেক পরই উধাও। এই ধরনের পলকা বৃষ্টিকে এখানে বলা হয়, 'পাসিং শাওয়ার। তবে মাঠ এর মধ্যেই ঢেকে রাখা হয়েছে কাভারে। নতুন করে বৃষ্টি না আসলে এক ওভার ব্যাট করতে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যথায় এক ওভার আগে ইনিংস শেষ হলে ৪৯ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়াবে ৩৭৭।

৪৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রানের বিশাল পাহাড় গড়েছে অসিরা। অ্যালেক্স ক্যারি ৯ ও মার্কাস স্টয়নিস ৬ রানে ব্যাট করছেন।

স্মিথকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার লো ফুলটাস ঠিকভাবে খেলতে না পারলে আঘাত হানে প্যাডে। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে লাভ হয়নি। ২ বলে ১ রান করেছেন স্মিথ।

৪৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৫৯ রান। অ্যালেক্স ক্যারি ৩ ও মার্কাস স্টয়নিস ৩ রানে ব্যাট করছেন।

খাওজাকে ফিরিয়ে সৌম্যর তৃতীয় আঘাত

উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে ব্যাট করছিলেন উসমান খাওজা। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ম্যাজিক ফিগারে যাওয়ার আগে তাকে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকার। তার বলে পুল করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। আউট হওয়ার আগে ৭২ বলে ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন খাওজা। ১০টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

৪৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৫৪ রান।

ভয়ঙ্কর ম্যাক্সওয়েলকে রানআউট করলেন রুবেল

উইকেটে নেমেই রুদ্ররূপে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৯ বলেই তুলে নিলেন ৩২ রান। যাতে ২টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা। নিজের দশম বলটি ছিল কিছুটা ইয়র্কার ধরণের। ব্লক করেছিলেন তিনি। শর্ট থার্ডম্যানে চলে যায় রুবেলের হাতে। এর আগে প্রান্ত বদল করে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে নন স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান খাওজা ফিরিয়ে দেন তাকে। ততক্ষণে উইকেটে মাঝে ম্যাক্সওয়েল। দারুণ থ্রোতে ফিরে আসার আগেই তাকে রানআউট করেন রুবেল।

ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে সেই সৌম্যই ভাঙলেন জুটি

অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। এরপর উসমান খাওজাকে নিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৯২ রানের দারুণ এক জুটি। এ জুটিও ভেঙেছেন সৌম্যই। আর এ উইকেটটি যেন প্রথম উইকেটের প্রতিবিম্ব। পার্থক্য শুধু শটে। ফিঞ্চ করেছেন কাট। আর ওয়ার্নার করলেন আপারকাট। শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ ধরেছেন সেই রুবেল হোসেনই। তবে এর আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার। ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।

৪৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩২১ রান। খাওজা ৮৪ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

অস্ট্রেলিয়ার দলীয় তিনশ

দেড়শ পার করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। উসমান খাওজা এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির দিকে। জুটিও দুইশ রানের কাচাকাছি চলে এসেছে। তাতে রানের পাহাড়ই গড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে তিনশ রানের কোটা পার করেছেন দলটি। ৪৩.৩ ওভারে (২৬১ বলে) এসেছে এ রান। দলের প্রথম একশ রান এসেছিল ৯৯ বলে। দ্বিতীয় একশ রান আসে ১০৮ বলে। তবে তৃতীয়টি এলো মাত্র ৫৪ বলে।

৪৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩০৯ রান। ওয়ার্নার ১৬২ ও খাওজা ৮৩ রানে ব্যাট করছেন।

খাওজার ফিফটি, ওয়ার্নার-খাওজা জুটিতে একশ

ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছেন উসমান খাওজা। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৫০ বলে ৪টি চারের সাহায্যে পঞ্চাশ রান স্পর্শ করেছেন তিনি। এছাড়া জুটিও পার করেছে একশ রানের কোটা। ৯৯ বলে আসে এ জুটির শতরান। তাতে ওয়ার্নারের অবদান ৫৫ রান। খাওজার অবদাহ ৪৫ রান। ৫৮ বলে এসেছিল এ জুটির পঞ্চাশ।

৩৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩০ রান। ওয়ার্নার ১১৯ ও খাওজা ৫০ রানে ব্যাট করছেন।

অস্ট্রেলিয়ার দলীয় দুইশ

সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সঙ্গী উসমান খাওজা এগিয়ে যাচ্ছেন নিজের হাফসেঞ্চুরির দিকে। তাতে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যেই এসেছে দলীয় দুইশ। ৩৪.৩ ওভারে (২০৭ বলে) আসে দলের দ্বিশতক। প্রথম একশ রান এসেছিল ৯৯ বলে।

৩৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০৮ রান। ওয়ার্নার ১০৮ ও খাওজা ৪০ রানে ব্যাট করছেন।

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি

দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এদিন শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করছেন তিনি। যদিও ব্যক্তিগত ১০ রানে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। জীবন পেয়ে তা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ২০তম সেঞ্চুরি। এদিন ১১০ বলে পৌঁছেছেন শতরানের কোটায়। তাতে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল।

৩৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৯৭ রান। ওয়ার্নার ১০৩ ও খাওজা ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।

ওয়ার্নার-খাওজা জুটিতে পঞ্চাশ

অ্যারন ফিঞ্চের বিদায়ের পর উসমান খাওজাকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর মধ্যেই এ জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান। ৫৮ বলে এ জুটির পঞ্চাশ রান আসে। তাতে ওয়ার্নারের অবদান ২৮ রান। খাওজা করেছেন ২১ রান।

৩১ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৭৭ রান। ওয়ার্নার ৯১ ও খাওজা ২৬ রানে ব্যাট করছেন।

ফিঞ্চকে বিদায় করে জুটি ভাঙলেন সৌম্য

টাইগার বোলারদের ভুগিয়ে দুর্দান্ত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দলটি। তবে অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ শিবিরে।

নিয়মিত বোলাররা ব্রেক থ্রু এনে দিতে না পারায় পার্ট টাইম বোলার সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফি। প্রথম ওভারেই ফেরান ফিঞ্চকে। তার বলে খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে রুবেল হোসেনের হাতে ধরা পড়েন অসি অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৫১ বলে ৫৩ রান করেছেন ফিঞ্চ। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি।

২২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২৩ রান। ৬৩ রানে ব্যাট করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন উসমান খাওজা।

হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন ফিঞ্চও

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দারুণ এক চার মেরে নিজের পঞ্চাশ রান স্পর্শ করেছেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা অস্ত্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ফিফটিতে পৌঁছাতে ৪৭ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে অসিদের এনে দিয়েছেন উড়ন্ত সূচনা। ফলে সংগ্রহের দিকেই আগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

২০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১১৭ রান। ওয়ার্নার ৫৯ ও ফিঞ্চ ৫২ রানে ব্যাট করছেন।

ওপেনিং জুটিতেই অস্ট্রেলিয়ার দলীয় শতরান

দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের দারুণ ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৬.৩ ওভার শেষেই দলীয় শতরান পার করেছে দলটি। প্রথম পঞ্চাশ রান এসেছিল ৫৭ রানে। দ্বিতীয় পঞ্চাশ এলো ৪২ বলে। ক্যারিয়ারে এটা এ দুই ওপেনারের সপ্তম শতরানের জুটি।

১৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০১ রান। ওয়ার্নার ৫৪ ও ফিঞ্চ ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।

ওয়ার্নারের হাফসেঞ্চুরি

ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ১০ রানে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাব্বির। তবে জীবন পাওয়ার সুযোগ দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ৫৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে অসি ইনিংসের ভিত গড়ছেন এ ওপেনার।

১৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯৮ রান। ওয়ার্নার ৫১ ও ফিঞ্চ ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।

অস্ট্রেলিয়ার দলীয় পঞ্চাশ

ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নার জীবন পেয়েছেন সাব্বির রহমানের হাতে। তবে সেটা ছাড়া সাবলীল ব্যাটিংই করছে অসিরা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমানের বল দেখে শুনেই খেলছেন দুই অসি ওপেনার। বল হাতে এসে তাদের ভোগাতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। মাঝে মধ্যে আদায় করে নিচ্ছেন বাউন্ডারিও। তাতে উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছে দলটি। ৯.৩ ওভারেই এসেছে দলীয় পঞ্চাশ।

১১ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬০ রান। অ্যারন ফিঞ্চ ২৯ ও ডেভিড ওয়ার্নার ২৮ রানে ব্যাটিং করছেন।

ওয়ার্নারকে জীবন দিলেন সাব্বির

অস্ট্রেলিয়া রানের চাকা সচল থাকলেও বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। নতুন বলে একপ্রান্ত থেকে আক্রমণে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আরেকপ্রান্ত থেকে মোস্তাফিজুর রহমান। উইকেট থেকে বেশ বাউন্স আদায় করে নিচ্ছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ।

তবে শুরুতেই অসিদের চাপে ফেলার একটি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। মাশরাফির করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন এ ম্যাচের একাদশে ফেরা সাব্বির রহমান। তখন ওয়ার্নার ১০ রানে ব্যাট করছিলেন।

এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩১ রান। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ১৫ ও ডেভিড ওয়ার্নার ১৩ রানে।

তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া

ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্রাম পাওয়া পেসার নাথান কোল্টার-নাইলও। এছাড়া বাংলাদেশের লেগস্পিন দুর্বলতার কথা ভেবে ফিরিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পাকেও। তাদের জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন শন মার্শ, কেন রিচার্ডসন ও জ্যাসন বেহরেনডর্ফ।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাওয়াজা, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যালেক্স ক্যারি, নাথান কোল্টার-নাইল, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা।

বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন

টাইগারদের একাদশে পরিবর্তন এসেছে দুটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। পিঠে চোট পাওয়ার শেষ পর্যন্ত ম্যাচে পাওয়াই গেল না এ দারুণ ছন্দে থাকা পেস অলরাউন্ডারকে। তাতে ভাগ্য খুলেছে রুবেল হোসেনের। ফিটনেস ঘাটতি থাকায় স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের পরিবর্তে খেলছেন সাব্বির রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আবহাওয়া বলছে নির্বিঘ্নে খেলা হবে

আগের দিন অনুশীলনের সময় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল। সারাদিনই ছিল আকাশ মেঘলা। কিন্তু বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিন সকাল থেকেই নটিংহ্যামের আকাশ ফুরফুরে। দেখা মিলল কড়া রোদের। পূর্ভাবাস বলছে, আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও তা বৃষ্টি হয়ে ঝরার সম্ভাবনা কম।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া

সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা টিকিয়ে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় চাই টাইগারদের। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে টস জিতে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং। মানে আগে ফিল্ডিং করতে হবে টাইগারদের। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়।

নতুন মাইলফলকের সামনে সাকিব

বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজারী ক্লাবে ঢুকতে আর মাত্র ৭৪ রান চাই সাকিব আল হাসানের। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ২টি উইকেট নিতে পারলে বিশ্বকাপের একমাত্র প্লেয়ার হিসেবে ১০০০ রান ও ৩০ উইকেটের মালিক হবেন তিনি। নিজের শেষ পাঁচ ওয়ানডেতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন সাকিব। তামিম ইকবাল ২০১২ সালে টানা পাঁচ ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছিলেন। তবে টানা ছয় ইনিংসে ৫০+ রান করার রেকর্ড বাংলাদেশের কারও নেই। এবারে তামিমকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন রেকর্ড গড়ার সুযোগ সাকিবের সামনে। টানা তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের। তাকে হাতছানি দিচ্ছে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি।

সেমির স্বপ্নে অসিদের হারাতে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ

টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে কেবল অস্ট্রেলিয়াকেই ওয়ানডেতে একাধিকবার হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। একমাত্র জয়টা অবশ্য ঐতিহাসিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরুর দিকের সেই জয় নানা কারণেই স্মরণীয় হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। ২০০৫ সালের ১৮ জুন ওয়েলসের কার্ডিফে যখন জয়ের আনন্দে মেতেছিলেন দলের ক্রিকেটাররা, তখন অসিরা ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল!

এরপর কেটে গেছে ১৪ বছর। অস্ট্রেলিয়াকে আর হারানো হয়নি বাংলাদেশের। তবে এটা সত্য যে, দ্বীপদেশটির বিপক্ষে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগও হয়নি টাইগারদের। ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি ম্যাচে অসিদের মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ। সবশেষ সাত বছরে মাত্র দুবার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। দুটি ম্যাচই পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টির কারণে।

পরিসংখ্যানের হিসাবনিকাশ ঠেলে এদিন নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হবে অস্ট্রেলিয়া নামক পরীক্ষা। মাশরাফি বিন মর্তুজার দল জয় না পেলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা কাগজে-কলমে টিকে ঠিকই থাকবে। কঠিন হলেও অসিদের হারানো অসম্ভব নয় বলেই মনে করছেন অধিনায়ক, ‘কালকে আমরা যখন মাঠে নামব, অবশ্যই ওরা আমাদের  সফরে ডাকবে কিনা এসব মাথায় থাকবে না। কেবল ভাবনায় থাকবে যে দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে, বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হবে। বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে যে আমরা উন্নতি করছি। আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো দল। অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women defend SAFF title with 2-1 win against Nepal

Bangladesh retained the title of SAFF Women's Championship with a 2-1 win against Nepal in an entertaining final at the Dasharath Stadium in Kathmandu today. 

10m ago