আবার সচল ঢাকা- কলকাতা সরাসরি বাস

প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (২১ জুন) থেকে ফের চালু হচ্ছে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা ও আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা সরাসরি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস।
Souharda
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (২১ জুন) থেকে ফের চালু হচ্ছে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা ও আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা সরাসরি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস।

টেন্ডার সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গত মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর আচমকাই শ্যামলী যাত্রী পরিবহন লিমিটেডের সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল করেছিল। লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ হওয়ার পর ‘শ্যামলী যাত্রী পরিবহন লিমিটেড’-কে আবার নতুন করে টেন্ডার দেওয়া হয়।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পরিবহন সংস্থাটির কর্ণধার অবণী ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই জটিলতাটি আমারই ভাই ‘শ্যামলী পরিবহন লিমিটেড’-এর কর্ণধার অরুণ ঘোষের জন্যই তৈরি হয়। তবে সরকার এই রুটের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবারও আমার প্রতিষ্ঠানকেই বাস পরিচালনা করার সুযোগ দিয়েছে।

১৯৯৯ সালে শ্যামলী যাত্রী পরিবহন লিমিটেড কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা রুটের সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করে। মাঝখানে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শরিকি বিবাদ তৈরি হওয়ায় নতুন শ্যামলী পরিবহন নামের আরেক ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে টেন্ডার নেয় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু ওই সংস্থাটি মাত্র এক বছর চালানোর পরই আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সরকারের কাছে দেনা হয়ে যায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। সেটা পরিশোধ না করতে পারায় রুটের অনুমোদন বাতিল করার নোটিশ পাঠালেও শেষ পর্যন্ত সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি অরুণ ঘোষ।

যদিও দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে মাত্র। বকেয়া টাকার সিংহভাগ পরিশোধ করা হয়েছে।

প্রতিদিন দুটো বাসে কলকাতা থেকে সরাসরি বাস সার্ভিসের ৮০ জন যাত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন আবার ওই বাস কলকাতায় ফেরে আবার ৮০ জন যাত্রী নিয়ে। রোজ গড়ে ১৬০ যাত্রী কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা রুটের চলাচল করেন। এছাড়াও কলকাতা-খুলনা-ঢাকা-কলকাতা রুটেও একইভাবে ১৬০ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। ১৬০ জন যাত্রী নিয়ে সরাসরি কলকাতা ভায়া ঢাকা-আগরতলা-ভায়া ঢাকা হয়ে কলকাতায় যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যাও প্রায় ১৬০।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago