‘জিন’ তাড়ানোর নামে নারীকে হত্যা: কবিরাজ দম্পতি আটক

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসা থেকে শাহনাজ আক্তার শিখা (২৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ‘জিন’ তাড়ানোর নামে কবিরাজের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কবিরাজ দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসা থেকে শাহনাজ আক্তার শিখা (২৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ‘জিন’ তাড়ানোর নামে কবিরাজের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কবিরাজ দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীপাড়া এলাকার কবিরাজ দম্পতির ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত শাহনাজ আক্তার শিখা ঢাকার সাদ্দাম মার্কেট এলাকার শাহ আলমের মেয়ে। সে মানসিক রোগী ছিল।

আর আটককৃতরা হলেন, চৌধুরীপাড়া এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩৫)।

নিহতের মা সুরাইয়া বেগম জানান, শিখা মানসিক রোগী ছিল। সে সব কিছু দ্রুত ভুলে যেত। ডাক্তার দেখানোর পরও যখন সুস্থ হয়নি তখন এক আত্মীয়র মাধ্যমে কবিরাজের সঙ্গে দেখা করি। কবিরাজ জানায় শিখাকে জিনে ধরেছে। আর ভালো করতে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। সে অনুযায়ী ১৮ জুন শিখাকে কবিরাজের বাসায় পাঠানো হয়। কিন্তু গতকাল বুধবার রাতে কবিরাজ বাসায় ফোন দিয়ে জানায় শিখা অসুস্থ হয়ে গেছে। রাতেই কবিরাজের বাসায় গিয়ে দেখা যায় শিখার লাশ মেঝেতে চাদর মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন চিকিৎসার নাম হাত পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। এ ভণ্ড কবিরাজ ও তার স্ত্রীর বিচার চাই।”

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, নিহতের শরীরের লাঠি দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে আসামি করে দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আটক কবিরাজ দম্পতিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago