ড্রেন-বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ ঢাকা মেডিকেলের মর্গ
সামান্য বৃষ্টিতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। মর্গের ভেতরের নীচতলার মেঝেও পানিতে থৈ থৈ। এতে মর্গের কর্মী-ডাক্তার-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে লাশ নিতে আসা স্বজন সবাইকে এই নোংরা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মূল ভবন ও নিউক্লিয়ার মেডিসিন ভবনের মাঝখান দিয়ে গেছে মর্গের রাস্তা। এছাড়া মেডিকেল কলেজের ভেতর দিয়ে মর্গে ঢোকার রাস্তাটিও পানিতে। শুধু মর্গে যাওয়ার রাস্তাই নয় দেশের প্রাচীনতম মেডিকেল কলেজটির ভেতরের অন্যান্য রাস্তাগুলোও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বংশালের মোহাম্মদ উল্লাহ অভি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশের ময়না তদন্ত হয়। ২০ জনের মতো স্বজন বংশাল থেকে এসেছিলেন অভির মরদেহ নিতে। তাদের সবাইকে প্রায় ১৫০ গজ জলমগ্ন রাস্তা পার হয়ে মর্গে যেতে হয়েছে।
নিহত অভির চাচাতো ভাই রবিন আলী বলেন, হত্যা মামলা হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মর্গের আশপাশের ড্রেনের ময়লা পানি পার হয়ে আসতে হয়েছে এখানে। মর্গের দূষিত পানি ড্রেনে যায়। সেই পানিই এখন উঠে এসেছে রাস্তায়।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ২টার পর মেডিকেল কলেজের শিফট পরিবর্তনের সময় ডাক্তার-নার্স-ছাত্রছাত্রী সবাই ওই পানি পার হয়ে যাওয়া আসা করছেন। ছাত্রী হলে ঢুকতে বেরুতে সবাইকে এই পানি মাড়াতে হচ্ছে। লাশ কাটা ঘরের সামনে বস্তায় ভরে ইট ফেলা হয়েছে। অনেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বস্তায় পা ফেলে চলাচল করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মর্গের এক সহকারী বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি হলে মর্গের সামনে পানি জমে। কিন্তু আগে ২-৩ ঘণ্টায় পানি নেমে যেত। গত ছয় মাস ধরে অল্প বৃষ্টিতেই পানি উঠছে। ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখন ১৪-১৫ ঘণ্টাতেও পানি নামে না। আমরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগকেও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবু সমাধান মিলছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক বিভাগের লোকজন এ ব্যাপারে কথা বলতে চান না। কলেজের একজন সহকারী পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃষ্টি হলে পানি জমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে বলেছি ড্রেন পরিষ্কার করতে। আজও বলেছি।
Comments