ম্যাচের দুই মোড় নিয়ে হতাশা, আক্ষেপ

৩৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১ উইকেটে ২০৮। হাতে উইকেট থাকায় বাকি ১৫ ওভারে তারা নিয়ে নিয়েছে আরও ১৭৩ রান। ওভারপ্রতি রান ছুটেছে প্রায় সাড়ে ১১ করে। শেষ ১০ ওভারে ঝড় বয়েছে আরও বেশি। ওভারপ্রতি ১৩ রানের উপর নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের শেষ দিকের এই ঝড় নাকি ১০ রানে জীবন পেয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৬৬ করে ফেলা। কোনটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট?
mashrafe mortaza
ছবি: রয়টার্স

৩৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১ উইকেটে ২০৮। হাতে উইকেট থাকায় বাকি ১৫ ওভারে তারা নিয়ে নিয়েছে আরও ১৭৩ রান। ওভারপ্রতি রান ছুটেছে প্রায় সাড়ে ১১ করে। শেষ ১০ ওভারে ঝড় বয়েছে আরও বেশি। ওভারপ্রতি ১৩ রানের উপর নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের শেষ দিকের এই ঝড় নাকি ১০ রানে জীবন পেয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৬৬ করে ফেলা। কোনটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট?

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে তো হতই। কিন্তু শেষ দিকেও যদি তারা আরেকটু আঁটসাঁট হতে পারতেন, ওয়ার্নার বড় রান পেলেও ম্যাচের ফলটা হতে পারত ভিন্ন।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অধিনায়কের বলেই পয়েন্টে ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দেন সাব্বির রহমান। তখন পর্যন্ত ভুগতে থাকা ওয়ার্নার পরে থিতু হয়ে ঘুরিয়েছেন ছড়ি। পুরো খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা করে দেন এলোমেলো।

বাঁহাতি ওয়ার্নার ওয়ার্নার ক্রিজে থাকায় সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ছয় ওভারে ৫০ রান দেওয়ায় আর বল করতেই আসেননি তিনি। অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারকে দিয়ে তাই পুষিয়ে নিতে হয়েছে বাকিটা। আরেকদিকে রুবেল হোসেন মার খাওয়ায় আরেকজন বোলারের অভাব আর পুষিয়ে দেওয়া যায়নি।

ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কথায় বেরিয়ে এলো এই দুই সংকটের কথা,  ‘যেটা বললাম এই ধরণের ম্যাচে যেকোনো কিছুই হতে পারে। ডেভিড ওয়ার্নার এরপরে (ক্যাচ মিচের পর) ১৫০ রান (আসলে ১৫৬) যোগ করেছে। এখানে হয়তবা সুযোগগুলো কাজে লাগালে ভিন্ন কিছু হতো। ক্যাচ মিস হয়, হতে পারে। তারপরও দেখেন ৩০-৩৫ ওভার পর্যন্তও ম্যাচে ছিলাম। যদিও উইকেট পড়েনি। এরপর থেকে যদি আমরা ৭-৮ করেও দিতাম তাহলেও একটা সেট ব্যাটসম্যান আউট হলে নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন হতো। বেশি সময় ছিল না ওদের মারার জন্য।’

শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলে দেয় ১৩১ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলে চারে নেমে ১০ বলে করে ফেলেন ৩২ রান। মার্কাস স্টয়নিক্স করেন ১১ বলে ১৭। ব্যাটিংয়ে ৩৩৩ রান করার পর ছোটখাটো এই মোড়গুলোও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়াকে ৩৩০-৩৪০ এর ভেতর রাখতে পারলেও এই মাঠে রান তাড়া করে ফেলা সম্ভব ছিল বলে বিশ্বাস বাংলাদেশ অধিনায়কের।

Comments