১৭ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভূমধ্যসাগরে আটকে পড়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনকে আজ (২১ জুন) দেশে ফিরয়ে আনা হচ্ছে।
Bangladeshi Migrants
তিউনিসিয়ার উপকূলে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার একটি আশ্রয় শিবিরে নেওয়া হয়। ছবি: রয়টার্স

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভূমধ্যসাগরে আটকে পড়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জনকে আজ (২১ জুন) দেশে ফিরয়ে আনা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ৩১ মে তিউনিসিয়ার সমুদ্রসীমা থেকে মিশরের একটি পণ্যবাহী জাহাজ তাদের উদ্ধার করে। এরপর থেকে গত ১৭ দিন ধরে তারা তিউনিসিয়ার জার্জিস শহরের উপকূলে আটকে পড়েছিলেন।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আ স ম আশরাফুল ইসলামের বরাতে সূত্র জানায়, আটকে পড়া বাংলাদেশিদের তিউনিসিয়ায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) একটি আশ্রয় শিবিরে নেওয়া হয়েছে এবং আজ বিকেলের মধ্যে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

উদ্ধার হওয়ার পর থেকে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট তাদের খাবার ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলো।

নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আশ্রয় শিবিরগুলো জনাকীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, এমন কারণ দেখিয়ে তিউনিসীয় কর্তৃপক্ষ অভিবাসন প্রত্যাশীদের কূলে ভিড়তে না দেওয়ায় প্রাথমিকভাবে তারা জাহাজ থেকে নামতে অস্বীকার করেছিলেন।

ভূমধ্যসাগরে আটকে পড়া ওই ৬৪ বাংলাদেশি এত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসতে অপারগতা জানিয়ে আসছিলেন। শুরু থেকেই ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ করে দিতে তারা তিউনিসিয়ার উপকূলীয় রক্ষী ও রেড ক্রিসেন্টের প্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

কিন্তু, তিউনিসিয়া ও ইউরোপের কোনো দেশই তাদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি।

গত ১৭ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক চিরঞ্জীব সরকার মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান যে, দেশে ফিরিয়ে আনতে রাজি করানোর জন্য এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার আলোচনা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা তাদের জন্য বিমানের টিকিট সরবরাহ করবে বলেও সেসময় জানান এই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago