স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছে আফগানরা

ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। উদ্দেশ্য বড় সংগ্রহ তুলে আফগানিস্তানকে চাপে রাখা। কিন্তু সে অর্থে সুবিধাটা নিতে পারেনি ভারত। তার মূল কারণই আফগান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। শুধু রানের গতিতেই লাগাম দেননি, তুলে নিয়েছেন উইকেটও। ফলে ৩৫ ওভারে দেড়শ রানের কোটা পার করেছে ভারত।
ছবি: রয়টার্স

ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। উদ্দেশ্য বড় সংগ্রহ তুলে আফগানিস্তানকে চাপে রাখা। কিন্তু সে অর্থে সুবিধাটা নিতে পারেনি ভারত। তার মূল কারণই আফগান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। শুধু রানের গতিতেই লাগাম দেননি, তুলে নিয়েছেন উইকেটও। ফলে দেড়শ রানের কোটা পার করতে ৩৫ ওভার লেগেছে ভারতের।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছে ভারত। কেদার যাদব ১১ ও সাবেক অধিয়ানক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৮ রানে ব্যাট করছেন।

তবে দলের সেরা স্পিনার রশিদ খান এদিনও কিছু করতে পারেননি। উল্টো বাজে সিদ্ধান্ত নিয়ে নষ্ট করেছেন রিভিউ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বেদম পিটুনি খাওয়ার ধাক্কাটা এখনও সামলে উঠতে পারেননি। তবে দারুণ বোলিং করে যাচ্ছেন মোহাম্মদ নবি, মুজিব উর রহমান ও পার্ট টাইম স্পিনার রহমত শাহ।

এদিন ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন মুজিব। দারুণ ছন্দে থাকা রোহিত শর্মাকে (৩০) সরাসরি বোল্ড করে দিয়েছেন। এরপর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৫৭ রানের ভালো জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। কিন্তু তিনি মোহাম্মদ নবির বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন শর্ট থার্ডম্যানে।

এরপর ভারতীয় অধিনায়ক দলের হাল ধরেন বিজয় শঙ্করকে (২৯) নিয়ে। ৫৮ রানের দারুণ একটি জুটিও গড়েন। বিজয়কে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন রহমত শাহ। তবে ভারতীয় শিবিরে বড় আঘাতটা দেন নবি। দারুণ ছন্দে থাকা কোহলিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। তার বলে কাট করতে গিয়ে রহমত শাহরা হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৬৩ বলে ৬৭ রান করেছেন কোহলি। মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনের পর দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টানা তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি তুললেন তিনি।

পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছেন আফগানিস্তান। শেষ চার ম্যাচ জিতলে গাণিতিকভাবে হয়তো শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার জন্য তাকিয়ে থাকতে অন্য দলগুলোর ফলাফলের জন্য। যা অনেকটা অসম্ভবই। তারপরও ভালো কিছু করে চমকে দিতে চায় আফগানিস্তান। যার শুরুটা ভালোই করেছেন দলটি

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago