অল্প পুঁজি নিয়ে ‘সংশয়ে’ ছিল ভারত, কোহলির স্বীকারোক্তি

দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচে একরকম সহজ জয়ই পেয়েছিল ভারত। তবে পুঁচকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত অল্প পুঁজি নিয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচটা জিতে নিলেও ঘাম ছুটে যায় ভারতের। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক বিরাট কোহলিও জানান, মাত্র ২২৪ রানে আটকে যাওয়ায় ইনিংস বিরতির সময়ে ‘সংশয়ে’ ছিলেন তারা।
virat kohli
ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচে একরকম সহজ জয়ই পেয়েছিল ভারত। তবে পুঁচকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত অল্প পুঁজি নিয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচটা জিতে নিলেও ঘাম ছুটে যায় ভারতের। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক বিরাট কোহলিও জানান, মাত্র ২২৪ রানে আটকে যাওয়ায় ইনিংস বিরতির সময়ে ‘সংশয়ে’ ছিলেন তারা।

শনিবার (২২ জুন) সাউদাম্পটনের রোজ বোলে নাটকীয় ম্যাচটি মাত্র ১১ রানে হারে আফগানিস্তান। ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ২২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১ বল বাকি থাকতে দলটি গুটিয়ে যায় ২১৩ রানে। শেষ দিকে দারুণ জমে উঠেছিল ম্যাচটি। জয় পেতে শেষ ৩ ওভারে আফগানদের দরকার ছিল ২৪ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। কিন্তু জাসপ্রিত বুমরাহ-মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে থামতে হয় আফগানিস্তানকে। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকই তুলে নেন শামি।

রৌদ্রজ্জ্বল দিনে রানবান্ধব উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছিলেন ভারতীয় দলনেতা কোহলি। লক্ষ্য ছিল, আফগানিস্তানকে রানচাপা দিয়ে পিষ্ট করা। তা তো ঘটেইনি, উল্টো রান তুলতে খাবি খেতে হয় ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপকে। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান ও রহমত শাহর ঘূর্ণি বোলিংয়ের সামনে বিরাট কোহলি আর কেদার যাদব ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন অস্বস্তিতে, দিশেহারা।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোজ বোলের উইকেট ধীরগতির হয়ে আসছিল। স্পিনাররা পাচ্ছিলেন সুবিধা। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রতিপক্ষ বোলার এবং উইকেটকে ঠিকঠাকভাবে না পড়ে নিজেদের ঢঙে ব্যাট চালিয়ে যান। তাতেই ডেকে আনেন বিপদ। শেষ পর্যন্ত কোহলি আর কেদারের ফিফটিতে ভারত স্কোরবোর্ডে তোলে ৮ উইকেটে ২২৪ রান। পরে অবশ্য এই রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয়। তবে আগের ম্যাচগুলোর মতো এদিন খুব বেশি স্বস্তিতে থাকতে পারেনি ভারত। একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত সজাগ থাকতে হয় তাদের।

ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণীতে সরল স্বীকারোক্তি দেন কোহলি, ‘ম্যাচের মাঝপথে (ভারতের ইনিংস শেষে) আমাদের মনের মধ্যে কিছুটা সংশয় ঢুকে গিয়েছিল। ম্যাচে কী ঘটতে পারে, এটা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম আমরা। তবে ড্রেসিং রুমের সবার বিশ্বাস ছিল। আমাদের সমষ্টিগত বিশ্বাস ছিল যে, আমরা ম্যাচটা জিততে পারি।’

দুর্বল আফগানদের বিপক্ষে জয়টা সহজে না আসলেও এ ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু দেখছেন কোহলি, ‘আমরা জানতাম আফগানিস্তান ক্ষুধার্ত (জয়ের জন্য)। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক বেশিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, সবকিছু আমাদের পরিকল্পনা মতো হয়নি। আর এরকম মুহূর্তেই আপনাকে নিজের সেরাটা দেখাতে হয় এবং ঘুরে দাঁড়াতে হয়।’

Comments