‘মনে হচ্ছে আশি-নব্বইয়ের দশকে ফেরত যাচ্ছি’

সাউদাম্পটন মূল শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে উঁচু-নিচু টিলা আর সবুজে ঘেরা পরিবেশে দাঁড়িয়ে 'দ্য এইজেসবোল ক্রিকেট গ্রাউন্ড’। স্টেডিয়ামের অংশ হয়েই আছে পাঁচ তারকা হিলটন হোটেল। পাশেই বড়সড় গলফ কোর্স। বিশাল এলাকাজুড়ে অবকাঠামোর বিস্তার।
The Rose Bowl, Southampton
ছবি: বিসিবি

সাউদাম্পটন মূল শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে উঁচু-নিচু টিলা আর সবুজে ঘেরা পরিবেশে দাঁড়িয়ে 'দ্য এইজেসবোল ক্রিকেট গ্রাউন্ড’। স্টেডিয়ামের অংশ হয়েই আছে পাঁচ তারকা হিলটন হোটেল। পাশেই বড়সড় গলফ কোর্স। বিশাল এলাকাজুড়ে অবকাঠামোর বিস্তার। এর মধ্যে মূল ক্রিকেট গ্রাউন্ডটাই সবচেয়ে বড়। এবার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এত বড় মাঠে খেলেনি বাংলাদেশ। সেন্টার উইকেট থেকে চারপাশের বাউন্ডারির হিসাব করে বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বললেন, তারা যেন ফিরে যাচ্ছেন সেই পুরনো দিনে। ১৯৮০, ৯০ এর দশকে। যখন কি-না মাঠ থাকত অনেক বড়। হরহামেশাই মারা যেত না চার-ছক্কা।

হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবের এই মাঠটি কখনো ‘হ্যাম্পশায়ার বোল’ আবার কখনো ‘দ্য রোজ বোল’ হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু স্পন্সরের কারণে এর বর্তমান নাম এইজেস বোল। মাঠের এক প্রান্তে খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম, প্রেস কনফারেন্স রুম আর ইনডোর এলাকা। আরেক প্রান্তে প্রেসবক্সের সঙ্গেই পাঁচতারকা হোটেল।

মাঠের আকারের মতো এইজেস বোলের উইকেটও ইংল্যান্ডের গড়পড়তা উইকেট থেকে কিছুটা আলাদা। এখানকার উইকেট উপমহাদেশের মতই মন্থর, টার্নও আছে অনেক।

এবার বিশ্বকাপে এই মাঠে ছিল মোট পাঁচ ম্যাচ। এর মধ্যে একটি ম্যাচ ভেসেছে বৃষ্টিতে। বাকি তিন ম্যাচের কোনোটিতেই কোনো দল আড়াইশ রান করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৭ রানের জবাবে ৪৮ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জেতে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১২ রানে আটকে সহজেই জেতে ইংল্যান্ড। তবে সবশেষ ম্যাচে ভারতকে মাত্র ২২৪ রানে আটকেও ম্যাচ জিততে পারেনি আফগানিস্তান।

সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই নিজেদের সপ্তম ম্যাচে নামছে বাংলাদেশ। তার আগে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে আফগানদের লড়াইটাতে চোখ রেখেছিলেন রোডস। সেখান থেকেই ধারণা পেয়েছেন উইকেটের। রবিবার (২৩ জুন) মাঠে এসে সব খতিয়ে দেখার পর তার মনে হচ্ছে, মাঝারি রানেরই ম্যাচ হতে যাচ্ছে কাল (সোমবার), ‘আমি টিভিতে দেখেছি (ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচ)। আমাদের অনুশীলনের সময়ও লাইভ দেখেছি। এখানে দুটো ব্যাপার । টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত যে সব উইকেটে খেলেছি তার থেকে এটা মন্থর, টার্নও করছিল। আমরা একই উইকেটে খেলব। এটা জানা থাকায় ভালো হলো। দ্বিতীয়ত, মাঠের কোথায় উইকেট এটা দেখলাম। এটা একদম মাঝখানে। কাজেই বাউন্ডারি অনেক বড়। মনে হচ্ছে, আমরা সেই ১৯৮০, ৯০ এর দশকে ফেরত যাচ্ছি। যখন কি-না অনেক বড় মাঠে খেলা হতো। এই ম্যাচে তাই চার-ছক্কা কম দেখা যাবে ভারতের ম্যাচের মতো।’

মাঠের এই বড়  আকারের কারণে খেলার কৌশলও ঠিক করেছেন বাংলাদেশ কোচ। কেবল চার-ছয়ের দিকে না তাকিয়ে দৌড়ে রান নেওয়ার দিকেই জোর তার, ‘এখানে সিঙ্গেলস, ডাবলস বা তিন রান নিতে হবে বেশি।’

Comments