ওয়ার্নের মাঠে রশিদ নিয়ে চিন্তা থাকলেও ভয় নেই বাংলাদেশের
হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবেই খেলতেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। সাউদাম্পটনের মাঠের একটা স্ট্যান্ডের নাম তাই ওয়ার্নের নামেই। ওয়ার্নের এই মাঠে আফগানদের তূণে আছে রশিদ খানের মতো লেগ স্পিনার। বাংলাদেশের কি আছে? এক ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশ কোচকে করে বসলেন এই প্রশ্ন। এই জায়গায় খামতি স্বীকার করেও নিজেদের রসদ আর সামর্থ্যে ভরসা স্টিভ রোডসের।
এই মাঠেই আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে ৩৮ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ। কিন্তু তার আগের ম্যাচে তাকে একদম মাটিতে নামিয়ে এনেছিল ইংল্যান্ড। সে ম্যাচে ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়ে বিশ্বকাপের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের বিব্রতকর রেকর্ড গড়েন তিনি।
সে ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে আনলেও এই লেগিই যে বাংলাদেশের মূল মাথাব্যথার কারণ হবেন, তা স্পষ্ট করেন রোডস, ‘পুরো দুনিয়াই রশিদকে সমীহ করে। দুর্দান্ত এক বোলার সে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মরগানের হাতে মার খেয়েছে সত্যি, কিন্তু সেটা ছিল ওর কেবল একটা বাজে দিন। সে সাধারণত ভীষণ আগ্রাসী একই সঙ্গে কিপটেও। তাদের অন্য দুই স্পিনার নবি ও মুজিবও খুব মান সম্পন্ন। কাজেই তাদের প্রতি অনেক সমীহ আছে আমার। কিন্তু আবার ভয় নেই। আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্পিন অনেক খেলে বেড়ে উঠেছে। এদের আলাদা করে সমীহ করার কারণ তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শীর্ষ বোলার।’
রশিদ চিন্তার কারণ হতে পারেন। তাকে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বরাবরই বাড়তি সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। আফগান ব্যাটসম্যানদের বৈচিত্র্যে কাবু করতে পারেন, বাংলাদেশের স্কোয়াডে এমন কেউ নেই। কিন্তু নিজেদের যা আছে তাতেই কাজটা পুষিয়ে নেওয়ার আশা রোডসের, ‘বিশ্বকাপ স্কোয়াডে একজন বাঁহাতি স্পিনার, একজন অফ স্পিনারের সঙ্গে একজন লেগ স্পিনারও থাকলে ভাল হত। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে লেগ স্পিনারের আকাল আছে। কিন্তু কী করা যাবে। যারা আছে তারা যথেষ্ট সামর্থ্যবান। আশা করি তারাই পুষিয়ে দেবে।’
Comments