টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানবপাচার মামলার ৩ আসামি নিহত

কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি।
gun fight
প্রতীকী ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি।

আজ (২৫ জুন) ভোর রাত চারটায় টেকনাফ উপজেলার মহেষখালিয়াপাড়া নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশিয় বন্দুক (এলজি), শটগানের ১৫টি তাজা গুলি ও ২০টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। 

নিহতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুরের ছেলে কোরবান আলী (৩০), টেকনাফ পৌরসভার কে কে পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (২৫) ও সুলতান আহমদের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০)।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানবপাচার মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার মহেষখালিয়াপাড়ার নৌকাঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে অস্ত্রধারীরা একপর্যায়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে।

এসময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সায়েফ ও কনস্টেবল মোহাম্মদ শুক্কুর আহত হন। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওসি আরও জানান, নিহত তিনজন ১৫ জন রোহিঙ্গাকে সাগরপথে অবৈধভাবে পাচার চেষ্টা মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করেছিলেন তারা। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

41m ago