কলকাতায় জঙ্গি সন্দেহে ৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্স সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত এই চার ব্যক্তির মধ্যে একজন ভারতীয় এবং বাকি তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ এনে আজ (২৫ জুন) বিকালে কলকাতার একটি আদালতে তোলা হয়। এই মুহূর্তে আদালতে শুনানি চলছে। ধৃত তিন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টেও মামলা করেছে পুলিশ।
এর আগে আজ কলকাতার ব্যস্ততম শিয়ালদহ স্টেশনের গাড়ি পার্কিং পয়েন্ট থেকে দুজন বাংলাদেশিকে আটক করে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা। পরে আরো দুজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয়।
ধৃত তিন বাংলাদেশির একজনের নাম জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন ওরফে জহির আব্বাস। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার নিজামপুরের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে। আরেকজনের নাম মামুনুর রশিদ। তিনি রংপুরের বদরগঞ্জের সদর থানার মমিনপুরের হারুন উর রশিদের ছেলে। অপরজন হলেন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ির বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম।
ওদিকে ধৃত ভারতীয় ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম। তার বাড়ি বর্ধমান জেলার মিত্রপুরে। তার বাবার নাম ইরজাহান শেখ।
পুলিশের মতে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছে থেকে কিছু ভিডিওচিত্র পাওয়া গিয়েছে যেগুলো মূলত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, কয়েকটি মোবাইল নম্বর এবং ক্ষুদেবার্তা উদ্ধার করা হয় যার মাধ্যমে ধৃতদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের যুক্ত কমিশনার শুভঙ্কর সিংহ জানান, বাংলাদেশি ওই যুবকরা সবাই জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মতে, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার এড়াতেই তারা ভারতের প্রবেশ করেছিলো।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৭তম জাতীয় লোকসভা নির্বাচনের সময় আইএস জঙ্গি সংগঠন তাদের মুখপত্র আমাখ নিউজে দাবি করেছিলো যে তারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করেছে। ওই দাবির পরই ভারতের গোয়েন্দারা সক্রিয় হয় এবং জঙ্গি নেটওয়ার্কের খোঁজ নিতে শুরু করে।
Comments