‘ক্যাচেস উইন ম্যাচেস’, পাত্তা দিচ্ছে না পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড!
ক্রিকেটীয় অঙ্গনে বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্যের একটি হলো- ‘ক্যাচেস উইন ম্যাচেস’। অর্থাৎ ক্যাচ ধরলে ম্যাচ জেতার কাজটা সহজ হয়ে যায়। অনেকক্ষেত্রে তো একটি সময়োপযোগী ক্যাচই বদলে দেয় গোটা ম্যাচের চিত্র। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে এই বাণীকে যেন ‘থোড়াই কেয়ার’ করে চলেছে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান!
চলমান আসরে এখন পর্যন্ত ১৪টি ক্যাচ বেরিয়ে গেছে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের হাত ফসকে। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা যতগুলো ক্যাচ তুলেছে তার ৩৫ শতাংশই নষ্ট করেছে সরফরাজ আহমেদের দল! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ ম্যাচেই তারা ছয় ছয়টি ক্যাচ ফেলে দিয়েছে। এরপরও দলটি ম্যাচ জিতেছে ৪৯ রানের বড় ব্যবধানে।
সেদিন লর্ডসে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়ারা থামে ২৫৯ রানে। তাদের ইনিংসের প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ ছেড়েছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। ৩৭তম ওভারে ওয়াহাবেরই পরপর দুই বলে দুটি সহজ ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করে পাকিস্তান। উইকেটের পেছনে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ক্যাচ ফেলেন অধিনায়ক সরফরাজ। এরপর থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করা মোহাম্মদ আমির জীবন দেন ডেভিড মিলারকে। তারপরও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য যাদের বরাবরই সুনাম আছে, সেই কিউইরাও কম যায়নি এবার। তাদের হাত থেকে পড়েছে ১২টি ক্যাচ! বিস্ময়করই বটে! কারণ, বলে-ব্যাটে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে এই দলটা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়ার কাজটাও বেশ এগিয়ে রেখেছে তারা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে একই ওভারে দুবার জীবন পান বিপজ্জনক ক্রিস গেইল! কিন্তু আক্ষেপে পুড়তে হয়নি কিউইদের। গেইলকে ফেরানোর পর অতিমানবীয় ব্যাটিং করা কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে থামিয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য শেষ হাসি হাসেন কেন উইলিয়ামসনরাই।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ক্যাচ ধরার দিক থেকে সেরা অবস্থানে আছে ভারত। কেবল একটাই বেরিয়ে গেছে তাদের হাত থেকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ ফেলেছিলেন লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশও খুব একটা খারাপ করেনি এবার। টাইগাররা ধরতে পারেনি চারটি ক্যাচ।
Comments