‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁস: ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের মামলায় পলাতক ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এদের মধ্যে ৪১ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এসিসট্যান্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট সুমন কুমার দাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানা তামিল হওয়ার ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসিকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।
প্রশ্নফাঁসের মামলায় ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর গত ২৩ জুন ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ২০১৭ সালের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৮৭ জন শিক্ষার্থীর নাম এসেছে।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনার মূল হোতা অলিপ কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্তদের মধ্যে ৪৭ জনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। অলিপ কুমার বিশ্বাস বিকেএসপির সহকারী পরিচালক ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সিআইডি সূত্রগুলো জানায়, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ৪৬ জনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। বাকি ৭৮ আসামি পলাতক রয়েছেন।
এদের বাইরে অসদুপায়ে ভর্তি হওয়া ৮৯ জন ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি চেয়েছে সিআইডি। জালিয়াত চক্রের সহায়তায় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এই শিক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।
২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে প্রথম অভিযানে মহিউদ্দিন রানা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে মহিউদ্দিন রানা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের নাটক ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক। এবছরের জানুয়ারি মাসে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন।
এই দুজন ছাড়াও গত বছরের জানুয়ারিতে প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের পর জালিয়াতিতে জড়িত পুরো একটি চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।
Comments