বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তনে বেজায় খুশি শামি

জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দুই স্পিনার। এটাই ছিল ভারতের বোলিং লাইন আপ। দারুণ খেলছিলেনও তারা। তাই মূল একাদশে জায়গাই হচ্ছিল না মোহাম্মদ শামির। হঠাৎ ভুবনেশ্বর কুমারের ইনজুরিতে জায়গা পেয়ে যান তিনি। আর ফিরেই অসাধারণ বোলিং করছেন এ পেসার। আর এমন প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশি তিনি।
ছবি: আইসিসি

জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দুই স্পিনার। এটাই ছিল ভারতের বোলিং লাইন আপ। দারুণ খেলছিলেনও তারা। তাই মূল একাদশে জায়গাই হচ্ছিল না মোহাম্মদ শামির। হঠাৎ ভুবনেশ্বর কুমারের ইনজুরিতে জায়গা পেয়ে যান তিনি। আর ফিরেই অসাধারণ বোলিং করছেন এ পেসার। আর এমন প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশি তিনি।

২০১৮ সাল থেকেই দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শামি। মূলত ফিটনেসে ঘাটতি র কারণে দলে জায়গা হয়নি তার। তবে অনেকটা ভাগ্য ক্রমেই বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলে তার। কারণ বল হাতে ভালো করছিলেন ভুবনেশ্বরও। তার ইনজুরি না হলে সহসা হয়তো একাদশ পরিবর্তন করত না ভারত। আর ফিরেই দুই ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার।

এমন প্রত্যাবর্তনের পর সংবাদ সম্মেলনে শামি বললেন, 'আমি ব্যর্থ ছিলাম এটা ঠিক। তবে এটা জিনিস সত্যি আমি আমার ফিটনেসে উন্নতি করেছি। এখন আমি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছি। আমি ওজন কমিয়েছি। এবং ভালো ছন্দে আছি। সবকিছু ভালো চলছে। আমি আমার ছন্দ ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এবং এটা খুব দারুণ অনুভূতি। আর স্কিল নিয়ে বলবো, আমি নিজেকে নিয়ে সবসময় আত্মবিশ্বাসী।'

ফেরার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শামি। পরের তো আরও দুর্দান্ত। আগের দিন উইন্ডিজের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বড় রান সংগ্রহ করতে পারেনি ভারত। ২৬৮ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে শুরুতেই উইকেট প্রয়োজন ছিল তাদের। শামির হাত ধরে তা মিলেও যায়। দুই ওপেনারকেই ফেরান শামি। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান দানব গেইলকে ফেরালে আত্মবিশ্বাস পায় দলটি। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে একই তাঁবুতে খেলায় তার সম্পর্কে বেশ ভালো জানেন শামি।

সংবাদ সম্মেলনে সে ব্যাখ্যাও দেন শামি, 'ক্রিস গেইল এবং আমি আইপিএলে একত্রে খেলেছি। একবার খেললে তাহলে আপনার কিছু ধারণা থাকে। আমি একটা জিনিস ভেবেছি যদি আমি তার হাত খুলতে না দেই তাহলে খুব ভালো হবে। কারণ এক সময় সে জোর করে এটা করতে যাবে।' ম্যাচে সেদিন শামির বলে করতে গেলে ঠিকভাবে না লাগায় মিডঅনে ধরা পড়েন গেইল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago