যে পরিসংখ্যানে সাকিবের চেয়ে কেবল মালিঙ্গাই এগিয়ে
২০০৬ সালের ৬ আগস্ট। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের। সেই থেকে শুরু। এরপর একটানা অবিরাম পথচলা। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ বনে যাওয়া। নিজেকে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের বর্ণাঢ্য আর সাফল্যে মোড়ানো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়সটা প্রায় ১৩ বছর ছুঁইছুঁই।
সাকিবের ওয়ানডে অভিষেকের দিনটি থেকে এখন পর্যন্ত (শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগ পর্যন্ত) সময় বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে উইকেট শিকারে তার চেয়ে বেশি দক্ষতা কেবল শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গাই দেখাতে পেরেছেন। বিশ্বের বাকি সব বোলারই রয়েছেন তার পেছনে।
সাকিব ওয়ানডে খেলেছেন ২০৪টি। বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন ২০১ ম্যাচে। ঈর্ষনীয় ২৯.৯৫ গড়ে শিকার করেছেন ২৫৯ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়েছেন আটবার। ৫ উইকেট দুবার। অন্যদিকে, এই সময়ের মধ্যে লঙ্কান গতিতারকা মালিঙ্গা মাঠে নেমেছেন ২০৯ ম্যাচে। তিনি বোলিং করেছেন ২০২ ইনিংসে। তবে গড়ের পাশাপাশি উইকেট দখলে বেশ এগিয়ে ভিন্নধর্মী অ্যাকশনের এই বোলার। ২৮.৯১ গড়ে তিনি পেয়েছেন ৩১০ উইকেট।
এই তালিকার শীর্ষ দশে আছেন আরও দুই বাংলাদেশি। চার নম্বরে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ও এশিয়া একাদশের হয়ে ১৭৭ ম্যাচে তার উইকেটসংখ্যা ২২৪টি। আর দশ নম্বর স্থানটা আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। ২০১৪ সালে সবশেষ ওয়ানডে খেলা এই বাঁহাতি স্পিনার ১৩৫ ম্যাচে পেয়েছিলেন ১৮৫ উইকেট।
এই পরিসংখ্যানের মতো বিশ্বকাপের চলমান আসরটাও সাকিবময়। বলা চলে, জীবনের সেরা ফর্মে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে তো রানের মধ্যে ছিলেনই, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বল হাতেও কারুকুরি দেখান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নেন ২৯ রানে ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে সাকিবের শিকার ১০ উইকেট।
নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলতে থাকা ৩৫ বছর বয়সী মালিঙ্গাও আছেন উইকেটের মধ্যে। ৪ ম্যাচে মাঠে নেমে নিয়েছেন ৮ উইকেট। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের স্মরণীয় জয়ের নায়কও ছিলেন তিনি।
Comments