কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম: মোসাদ্দেক

বিশ্বকাপের আগে দলের সেরা একাদশের ভাবনায় মোসাদ্দেক হোসেনের চেয়ে এগিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু আয়ারল্যান্ড সিরিজেই বদলে যায় ছবি। সেই সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেই নিজের দাবিটা জোরালো করে ফেলেন মোসাদ্দেক। বিশ্বকাপেও সুযোগটা হেলায় হারাননি। নিজের ভূমিকা পালন করছেন ঠিকঠাক।
mosaddek hossain
ছবি: বিসিবি

বিশ্বকাপের আগে দলের সেরা একাদশের ভাবনায় মোসাদ্দেক হোসেনের চেয়ে এগিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু আয়ারল্যান্ড সিরিজেই বদলে যায় ছবি। সেই সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেই নিজের দাবিটা জোরালো করে ফেলেন মোসাদ্দেক। বিশ্বকাপেও সুযোগটা হেলায় হারাননি। নিজের ভূমিকা পালন করছেন ঠিকঠাক।

মূলত সাব্বির থেকে মোসাদ্দেক এগিয়ে ছিলেন বোলিংয়ের সামর্থ্যের কারণে। সাতে নেমে তেড়েফুঁড়ে মারার সামর্থ্যে সাব্বিরই ছিলেন প্রথম পছন্দ। কিন্তু কেবল ব্যাটিং হিসেব করলেও এখন এগিয়ে গেছেন মোসাদ্দেক। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সাতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ বলে ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বলে ২৬ করে ফের দেখান মারার সামর্থ্য। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভীষণ দরকারে ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান জুতসই পূঁজিতে।

আর অফ স্পিনে প্রতি ম্যাচেই তার কাছ থেকে সার্ভিস পাচ্ছেন অধিনায়ক। ইনজুরির কারণে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি খেলতে পারেননি। তার অভাবও ভীষণ করে অনুভব করে দল। সে ম্যাচে নেমে ফিল্ডিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়ার পর ব্যাটিংয়ে গোল্ডেন ডাক পান সাব্বির। বাকি ম্যাচগুলোতেও দুজনের গতিপথ ঠিক হয়ে যায় তাতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যালাহাইডে ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসের পর তার শরীরী ভাষাতেও এসেছে বদল। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার বিশ্বকাপে আসেন তুঙ্গে থাকা আত্মবিশ্বাস নিয়ে। জানালেন অপেক্ষায় ছিলেন কেবল একটা সুযোগের,  ‘আমি আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ নিয়ে খুব একটা চিন্তা করছি না। আমি যখন এখানে আসি আগের থেকেই আমার চিন্তা ছিল যে আমি সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।  সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।  সুযোগ পেলেই যে ভালো করবো সেই নিশ্চয়তা নেই।  আমি আমার নিজের কাজটা ঠিকমতো করার চেষ্টা করেছি। এর বাইরে কিছু না।  এখন পর্যন্ত তাই করেছি। সামনের ম্যাচগুলোতে সেই চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।’

প্রিমিয়ার লিগে নিজের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ আর বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াটা তবু ছিল না নিশ্চিত। জানতেন সুযোগ পেলেও খেলতে হবে নিচের দিকে। নিজের সহজাত ব্যাটিং টেকনিকের সঙ্গে মেরে খেলার আগ্রাসন আয়ত্ত করে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন,  ‘এটা শুধু আমার জন্য না, সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং।  সাত নম্বরে নেমে বড় ইনিংস খেল, তখন নিজের থেকে দলের রানটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। সবাই চেষ্টা করে এখানে এসে যেন দ্রুত রানটা তুলতে পারে।  প্রিমিয়ার লিগ থেকেই এ চেষ্টা করে আসছি। এখনও সেই চেষ্টায় আছি।  স্ট্রাইক রেট নিয়েই চিন্তা করছি। চিন্তায় থাকে যখনই ব্যাটিংয়ে যাবো তখন ১০০ র বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাটিং করবো।’

ব্যাটিংয়ে মেরে খেলা। আর বল হাতে প্রতিপক্ষকে মারতে না দেওয়া। বাংলাদেশ দলে মোসাদ্দেকের ভূমিকা ঠিক এটাই। প্রতি ম্যাচেই পাঁচ-ছয় ওভারের চাহিদা পূরণ করে অধিনায়ককে রাখছেন নির্ভার, ‘বোলিংয়ের সময় আমার রোল হয়তো থাকে ৫-৬ ওভার।  উইকেট থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আসলে ডট বল করা।  যেই পরিস্থিতিতে আমি যাচ্ছি চেষ্টা করছি ডট বল বেশি করে করার।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago