ইংলিশদের হারাতে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ভারতকে
ঘরের মাঠে দর্শক হতে না চাইলে ম্যাচ জয়ের কোন বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। হারলেও হয়তো ক্ষীণ কিছু সম্ভাবনা থাকে, তবে তার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের উপর। তবে নিজেদের কাজটা এগিয়ে রাখতে ভারতকে বেশ বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে দলটি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৭ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলেছে স্বাগতিকরা।
চলতি আসরে অবশ্য এখনও হারের মুখ দেখেনি ভারত। তবে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কিছুটা হলেও কঠিন তাদের জন্য। কারণ বিশ্বকাপে এতো বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতেনি আর কেউ। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ইংলিশদের করা ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিল আইরিশরা। তাই জিততে হলে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে ভারতকে।
বার্মিংহ্যামে এদিন যে গতিতে রান করছিল ইংলিশরা তাতে মনে হয়েছিল চলতি আসরে প্রথমবারের মতো চারশ রানের ইনিংস দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। সেঞ্চুরিয়ান জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটেই এগিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। তবে তাকে ফেরানোর পর বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভারতীয় বোলাররা। শেষদিকে আবার তোপ দাগান বেন স্টোকস। তাতে বড় সংগ্রহই করে দলটি।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। মাঠে নামার আগেই সুসংবাদ পায় দলটি। ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফিরলেন জেসন রয়। শুধু ফিরলেনই না, ইংল্যান্ডের সুসময়ও যেন ফিরিয়ে আনলেন। বেয়ারস্টোর সঙ্গে দলকে এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১৬০ রান। এমন জুটির পর ইংলিশদের আত্মবিশ্বাসও পৌঁছায় অনেক উঁচুতে।
অতিরিক্ত ফিল্ডার রবিন্দ্র জাদেজার দারুণ ক্যাচে ভাঙে ইংলিশদের ওপেনিং জুটি। লংঅনে দারুণ ক্যাচ ধরেছেন তিনি। ৫৭ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন রয়। তবে আউট হতে পারতেন আরও আগে। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে ভুলটা করে ফেললেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়ার করা সে বলে রয়ের গ্লাভস ছুঁয়ে গেল উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার দিলেন ওয়াইড। তবে রিপ্লেতে দেখা আউট ছিলেন রয়। রিভিউ নিলে ৪৯ রানেই ভাঙত ইংলিশদের ওপেনিং জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটেও রুটকে নিয়ে দারুণ ব্যাট করেন বেয়ারস্টো। গড়েন ৪৫ রানের জুটি। বেয়ারস্টোকে বিদায় করে এ জুটি ভাঙতেই অধিনায়ক ইয়ন মরগানকেও দ্রুত আউট করে ভারত। এরপর চতুর্থ উইকেটে জো রুটের সঙ্গে হাল ধরেন স্টোকস। স্কোর বোর্ডে ৭০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এরপর এ জুটি ভাঙলে এক প্রান্তে ঝড় তুলে স্কোর বড় করতে থাকেন স্টোকস।
শেষ ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন স্টোকস। এ রান করতে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১১ রানের ইনিংস খেলেছেন বেয়ারস্টো। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার অষ্টম সেঞ্চুরি হলেও বিশ্বকাপে প্রথম। চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৯০ বলেই সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। নিজের ইনিংসটি ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজান তিনি। ভারতের পক্ষে ৬৯ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি।
Comments