ভারতকে ‘বড় জুটি’ গড়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) এজবাস্টনে শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ১০৪ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু অস্বাভাবিক ঢিলেঢালা ব্যাটিং করে তারা ম্যাচটা হেরে যায় ৩১ রানে। হার্দিক পান্ডিয়া তাও যা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদবের ব্যাটিংয়ে রান তাড়ার তেমন তাগিদ দেখা যায়নি। যখন চার-ছক্কার ফুলঝুরি দরকার ছিল, তখন সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে তারা ৩১ বল খেলে যোগ করেছিলেন মাত্র ৩৯ রান।
bangladesh cricket team
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) এজবাস্টনে শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ১০৪ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু অস্বাভাবিক ঢিলেঢালা ব্যাটিং করে তারা ম্যাচটা হেরে যায় ৩১ রানে। হার্দিক পান্ডিয়া তাও যা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদবের ব্যাটিংয়ে রান তাড়ার তেমন তাগিদ দেখা যায়নি। যখন চার-ছক্কার ফুলঝুরি দরকার ছিল, তখন সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে তারা ৩১ বল খেলে যোগ করেছিলেন মাত্র ৩৯ রান।

ইনিংসের শেষ দিকের এমন শামুক গতির ব্যাটিংয়ে চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম হারের স্বাদ নেয় ভারত। সাত নম্বর ম্যাচে এসে। তার আগের ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছিলেন বিরাট কোহলিরা। বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি। জয়যাত্রা থামলেও সেমিফাইনালের দৌড়ে এখনও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত।

ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর ভারতের ইনিংসের শেষ ভাগের বিবর্ণ ব্যাটিংকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে দলটির ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার মনে করেন, ভালো জুটি গড়তে না পারার কারণেই শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি তার শিষ্যরা। আর এই ভুলটা মঙ্গলবার (২ জুলাই) এজবাস্টনে বাংলাদেশের বিপক্ষে করতে চান না তারা।

বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাঙ্গার জানান, ‘আমাদের বেশ কিছু ভালো পারফরম্যান্স ছিল সেদিন (ব্যাটিংয়ে)। (বাংলাদেশের বিপক্ষে) আমাদের আরও কিছু ভালো জুটি গড়তে হবে। কারণ সেদিন আমরা মাত্র একটা বড় জুটি পেয়েছিলাম। আর দ্বিতীয় সেরা জুটিটা তেমন বড় ছিল না। তাই আমাদের উচিত ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোতে ভালো জুটি গড়া এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে তা আমি প্রত্যাশা করছি। যদি এটা ঘটে, এটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’

ভারতের জার্সিতে ১২ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলা সাবেক ব্যাটসম্যান বাঙ্গারের এই বক্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে ওঠে। জুটি গড়তে দিলেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ভারত- আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশকে ছুঁড়ে দেবে বড় লক্ষ্য, পরে ব্যাট করলে লক্ষ্য তাড়ার কাজটা সারবে সহজে। অর্থাৎ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে, সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের কাজ থাকবে নিয়মিত বিরতিতে ভারতের উইকেট তুলে নেওয়া, তাদের জুটিগুলোকে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠার আগেই ভেঙে ফেলা। পারবেন তো সাকিব-মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন-মাশরাফিরা?

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago