কত মূল্য দিতে হবে এই ভুলের!
ক্রিকেটে ক্যাচ মিসকে বলা হয় খেলারই অংশ। আবার ‘ক্যাচ মিস যে ম্যাচ মিস’ এই কথাও বড় ভীষণ সত্য। সেটা আরও বেশি প্রকট যখন ক্যাচ ফসকায় এমন কারো যার কিনা ক্ষমতা আছে একাই সব তছনছ করে দেওয়ার। তামিম ইকবাল যার লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন, সেই রোহিত শর্মার ওয়ানডেতেই আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে টিকে থাকার মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তামিমের ক্যাচ মিসে শুরুতেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।
ঘটনা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলটা মিড উইকেট দিয়ে উড়াতে গিয়েছিলেন রোহিত। ব্যাটে বলে ঠিকমতো নিতে পারেননি। বাম পাশে খানিক এসেই হাতের মধ্যেই ক্যাচ পেলেন তামিম। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ভাবে গড়বড় করে ফেলে দিলেন সেই ক্যাচ। এমন একজনের ক্যাচ, যিনি সেট হয়ে গেলে যিনি ক্রমেই হয়ে যান খুনে। একবার সুযোগ পেলে তো কথাই নেই। আগের ম্যাচেও দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে তার ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন জো রুট। সেঞ্চুরির আগে আর থামানো যায়নি রোহিতকে। রোহিত আজ কোথায় থামবেন, কতখানি ক্ষত দিবেন তামিম ও বাংলাদেশকে। অপেক্ষা যেন কেবল তারই।
অথচ তখন মাত্র ৯ রানে ছিলেন রোহিত। ভারত ছিল মাত্র ১৮ রানে। এবার বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষে ওপেনারদের আলগা করতে বেশ হ্যাপা পোহাতে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। নতুন বলে আসছিল না উইকেট। অন্যদিকে ভারত টপ অর্ডারেই পাচ্ছিল রান। টপ অর্ডার ধসে গেলে ভুগছিল তাদের মিডল অর্ডার। প্রথম ১০ ওভারে তাই উইকেট নেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের জন্য।
মোস্তাফিজ উইকেট এনেও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাখতে পারলেন না তামিম। এই ক্যাচ মিসের পর বদলে গেছে বাংলাদেশের শরীরী ভাষাও। জীবন পেয়ে দুর্বার থেকে আরও দুর্বার হয়ে উঠছেন রোহিত। ৪৫ বলে ফিফটি তুলেন রোহিত। সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৯০ বলে। টুর্নামেন্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি করতে মেরেছেন ৬ চার আর ৫ ছক্কা। বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানকে ১০৪ রানে ফিরিয়েছেন অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার। সৌম্যের বলে পেটাতে গিয়ে মিড অফে লিটন দাসের হাতে জমা পড়েন তিনি।
তবে ৯ রানে জীবন পাওয়া রোহিত আউট হওয়ার যে যোগ করে ফেলেছেন ৯৫ রান। ম্যাচ শেষে এই বোঝা যাবে এই ভুল কতখানি বড় হবে বাংলাদেশের জন্য।
Comments