৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্যে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
আরো ৩ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শীঘ্রই এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
এমপিওভুক্ত সব শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হিসেবে সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিলো ১৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী ৯ হাজার ৬১৪ বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৭৬২টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়া যোগ্য।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে ১ হাজার ৬২৯টি স্কুল এবং কলেজ, ৫৮২ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ৫৫১ মাদরাসার এমপিওভুক্ত হওয়ার সব যোগ্যতা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্কুল-কলেজগুলো পাবে ৮৬৫ কোটি টাকা এবং ২৮২ কোটি টাকা পাবে মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সরকার সর্বশেষ ২০১০ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করেছিলো।
জাতীয় উন্নয়নে দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্যে এবার সরকার কারিগরি শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে হাওর, চর এবং পাহাড়ি এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে সেসব অঞ্চলে এমপিওভুক্ত হওয়ার নিয়মকানুন একটু শিথিল করা হতে পারে বলেও সূত্র জানায়।
এছাড়াও, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা ও প্রভাবশালী নেতাদের চাপ রয়েছে।
না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা প্রক্রিয়াটি প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আগামী ১ বা ২ সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।”
অনেক উপজেলায় ১০ থেকে ১২টি ভালো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর এমপিওভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু, হাওর বা পাহাড়ি এলাকায় এমপিওভুক্ত করার মতো এক-দুটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া মুশকিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
“তাই, আমরা চাই এমপিওর সুবিধা সব উপজেলায় ছড়িয়ে দিতে চাই।”
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে নিচের ইংরেজি লিংকে ক্লিক করুন)
Comments