অভিজাত লর্ডসে সুন্দর স্মৃতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ

মেহেদী হাসান মিরাজ লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সৌম্য সরকারকে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে দেখছিলেন চারপাশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নামার আগে লর্ডসে এসে রোমাঞ্চ যেন ছুঁয়ে গেছে ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটের এই তীর্থস্থানে এর আগে দুই টেস্ট খেললেও রঙিন পোশাকে এবারই প্রথম নামবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ায় টুর্নামেন্টের প্রেক্ষিতে এই ম্যাচের কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তু বাংলাদেশ চাইছে অভিজাত লর্ডসে একটা সুন্দর স্মৃতি রেখে দেশে ফিরতে।
lords cricket ground
ছবি: স্টার

মেহেদী হাসান মিরাজ লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সৌম্য সরকারকে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে দেখছিলেন চারপাশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নামার আগে লর্ডসে এসে রোমাঞ্চ যেন ছুঁয়ে গেছে ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটের এই তীর্থস্থানে এর আগে দুই টেস্ট খেললেও রঙিন পোশাকে এবারই প্রথম নামবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ায় টুর্নামেন্টের প্রেক্ষিতে এই ম্যাচের কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তু বাংলাদেশ চাইছে অভিজাত লর্ডসে একটা সুন্দর স্মৃতি রেখে দেশে ফিরতে।

২০০৫ সালে মুশফিকুর রহিমের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল অভিজাত লর্ডসে।  ২০১০ সালে এখানে পাঁচ উইকেট আর সেঞ্চুরি করে অনার্স বোর্ডে নাম উঠান তামিম ইকবাল আর শাহাদাত হোসেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও টেস্ট খেলেছেন এই মাঠে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের রুবেল হোসেন এখানে খেলেছেন এক টেস্ট। কিন্তু বাকিদের কাছে লর্ডস একেবারেই নতুন।

কোচ স্টিভ রোডস জানালেন, ক্রিকেটের আসল বাড়িতে এসে তার দলের ক্রিকেটাররা আসলেই কতটা রোমাঞ্চিত,  ‘তারা সবাই বাস থেকে নেমে স্টেডিয়ামের গেইট দিয়ে হেঁটে ঢুকতে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছিল। প্যাভিলিয়নে যাওয়ার পর দেয়ালে ঝোলানো পেইন্টিংস দেখছিল কেউ কেউ। ড্রেসিংরুমে অনার্স বোর্ডে পাঁচ উইকেট ও সেঞ্চুরিয়ানদের নামের প্রতি আগ্রহ ছিল কারো। কেউ কেউ ব্যালকনিতে গিয়ে উপভোগ করছিল আভিজাত্য।  লর্ডসে এলে আসলে এমনটাই হয়। এটা ক্রিকেট খেলার জন্য সেরা মঞ্চ।’

শুক্রবার লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলবে মাশরাফি মর্তুজার দল। সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও এই ম্যাচ জিতলে পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। রোডস চাইছেন প্রেক্ষিত যাইহোক, অভিজাত লর্ডস থেকে যেন নিয়ে ফেরা যায় দারুণ কোন স্মৃতি, ‘আশা করছি এই মাঠে দারুণ স্মৃতি নিয়ে ফেরা যাবে কাল। কেউ হার পছন্দ করে না। লর্ডসে খেললে সেটা কেউ ভুলতে পারে না। এখানে খেলাটা অনেক বড় কিছু পাওয়া।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago