মোস্তাফিজের ঝলকের পরও বড় লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

শুরুতে বোলিং হলো না মনমতো। আরও একবার ফিল্ডিং হলো যাচ্ছেতাই। কেমন যেন গা ছাড়া শরীরী ভাষায় পাওয়া গেল না তেজদীপ্ত হওয়ার বারুদ। বিশ্বকাপের বিচারে গুরুত্বহীন ম্যাচ, তবে এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের পাওয়ার আছে অনেক। হারানোর তারচেয়েও বেশি। সাদামাটা বোলিংয়ে তেমন ইঙ্গিতই ছিল। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ অফ স্পিনে বেধে রেখে চাপ রাখলেন জারি। শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রো পাইয়ে দলকে ম্যাচে ফেরালেন মোস্তাফিজুর রহমান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে নিলেন পাঁচ উইকেট। তবু তিনশোর নিচে আটকানো যায়নি পাকিস্তানকে।
Mustafizur Rahman
ছবি: এএফপি

শুরুতে বোলিং হলো না মনমতো। আরও একবার ফিল্ডিং হলো যাচ্ছেতাই। কেমন যেন গা ছাড়া শরীরী ভাষায় পাওয়া গেল না তেজদীপ্ত হওয়ার বারুদ। বিশ্বকাপের বিচারে গুরুত্বহীন ম্যাচ, তবে এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের পাওয়ার আছে অনেক। হারানোর তারচেয়েও বেশি। সাদামাটা বোলিংয়ে তেমন ইঙ্গিতই ছিল। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ অফ স্পিনে বেধে রেখে চাপ রাখলেন জারি। শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রো পাইয়ে দলকে ম্যাচে ফেরালেন মোস্তাফিজুর রহমান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে নিলেন পাঁচ উইকেট। তবু তিনশোর নিচে আটকানো যায়নি পাকিস্তানকে।

টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে  বাবর আজম আর ইমাম-উল হকের ব্যাটে ৯ উইকেটে ৩১৫  রান করেছে পাকিস্তান।  ইমাম আউট হন ১০০ বলে ১০০ করে। বাবর ফেরেন ৯৬ রান করে। ছয়ে নেমে ইমাদ ওয়াসিম খেলেন ২৬ বলে ৪৩ রনে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে ৭৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আরও একবার সেরা কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশের শেষটা ভালো করতে চাই ৩১৬ রান।

অথচ এই রানের অনেক আগেই থামতে পারত পাকিস্তানের দৌড়। ৯৮ বলে ৯৬ করা বাবর আযমকেই যে একাধিবার জীবন দিয়েছেন ফিল্ডাররা। ৫৭ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে বাবরের ক্যাচ ফেলে দেন মোসাদ্দেক হোসেন। সেই মোসাদ্দেক বল করতে এসে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন বাবরকে। কিন্তু ৬৫ রানে তার বলে এবার বাবরকে জীবন দেন মুশফিকুর রহিম।

দুবার জীবন পেয়ে যখন অনায়াস সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তখন সাইফুদ্দিন এসে ফেরান তাকে। সাইফুদ্দিনের লো ফুলটস মিস করে এলবডব্লিও হয়ে ফেরত যান তিনি। ততক্ষণে ইমামের সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি সারা বাবরের। পাকিস্তানের রান পৌঁছে গেছে ১৮০। ফিল্ডিং ভালো হলে এই রানটাও হতে পারত আরও কম। পায়ের ফাঁক গলে এদিনও বেরিয়েছে বাউন্ডারি। ফিল্ডিংয়ে চাপ রেখে প্রতিপক্ষকে সিঙেলস, ডাবলস নেওয়া থেকেও ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ।

২৫ থেকে ৩৫ ওভারে বেরিয়ে যায় ৮২ রান। মাঝের ওভারে এত রান খসে যাওয়ায় বড় স্কোরই পাওয়ার পথে ছিল পাকিস্তান।  সেঞ্চুরি তুলে ইমাম দিচ্ছিলেন আরও বিস্ফোরক হওয়ার আভাস। ভাগ্য সহায় হওয়ায় মোস্তাফিজের নীরিহ এক বলে হিট উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি। ইমাম ফেরার পর পরই হারিস সোহেলকে ছেঁটে ফেলেন মোস্তাফিজ। খানিকপর ইমাদ ওয়াসিমের শটে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে আঘাত পেয়ে বেরিয়ে যান সরফরাজ আহমেদ।

৪০ ওভারে ২ উইকেটে ২৩০ থেকে ৪৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রানে পরিণত হয়েছিল পাকিস্তানের স্কোর। কিন্তু স্লগ ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের খরুচে বোলিং পাকিস্তানকে পাইয়ে দেয় জুতসই পূঁজি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান:  ৩১৫/৯  (ফখর ১৩, ইমাম , বাবর  ৯৬,  হাফিজ ২৭, হারিস ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২ , শাদাব ১ , আমির ৮ , শাহীন ০* ;  মিরাজ  ১/৩০, সাইফুদ্দিন ৩/৭৭, মোস্তাফিজ ৫.৭৫, মাশরাফি ০/৪৬, সাকিব ০/৫৭, মোসাদ্দেক ০/২৭ )

Comments