এই ম্যাচে কেন অমন শরীরী ভাষা?
ক্রিকেট মাঠে জেতার জন্য কেবল ব্যাটিং-বোলিংই জানা থাকলেই চলে না। মানসিকভাবে আপনি কতটা চাঙ্গা তাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বেহাল দশা যেন বুঝিয়ে দিল তেমনটি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাও ব্যাপারটা অস্বীকার করলেন না।
আগের ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে জেতার অবস্থা থেকেও শেষ করতে না পারার জ্বালা নিয়ে লর্ডসে এসেছিলেন মাশরাফিরা। আশা ছিল অন্তত শেষটা হোক ভালোয় ভালোয়। কিন্তু শেষটা হলো এমন কালো, যেন আগের ভালো কিছুও আড়ালে পড়ার যোগাড়।
আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ৩১৫ রানের জবাবে ২২১ রানেই শেষ বাংলাদেশ। ফলের মতই নাজুক অবস্থা ছিল দলের শরীরী ভাষার। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ পড়েছে একাধিক, বাউন্ডারি বেরিয়েছে হাত ফসকে। ব্যাটিংয়ে রান তাড়ায় ছিল না কোন ইন্টেন্ট। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার তাড়না ছিল অনুপস্থিত।
জেতার তাড়নার এই অভাব তবে কেন, মাশরাফি বললেন ভারতের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর এই ম্যাচে মানসিকভাবে ঠিক ফুরফুরে অবস্থায় ছিলেন না তারা, ‘আসলে জেতার মতো অবস্থায় যে নামিনি সেটা না। তবে একটা সত্যি কথা, যখন আপনি জানেন যে সেমিফাইনালে খেলবেন না । হয়ত এতা ব্যাক অফ দ্য মাইন্ডে কাজ করতে পারে কারো কারো। আপসেট থাকে সবাই। এটা স্বাভাবিক। এই ধরণের ম্যাচ আসলে কঠিন হয় দুদলের জন্যই।’
পাকিস্তানও জানত সেমিফাইনাল আশা অনেকটাই শেষ। অধিনায়ক মনে করেন কিন্তু ঠিক আগের ম্যাচে তারা কিউইদের হারানোয় মোমেন্টামে এগিয়ে ছিল বলে পারেনি বাংলাদেশ , ‘পাকিস্তান লাস্টের ম্যাচ জিতে একটা মোমেন্টামে ছিল। যেটা হয়ত আমাদের ছিল না। আমরা জিতছি, হারছি এভাবে টিকে ছিলাম। যখন ইন্ডিয়ার সঙ্গে হেরে বাদ গেলাম তখন সবাই হতাশ হয়ে পড়েছে।’
Comments