পারস্য উপসাগরে ট্যাঙ্কার ‘আটকের’ খবরটি সঠিক নয়
ভূমধ্যসাগরে ব্রিটিশ-শাসিত দ্বীপ জিব্রাল্টারে ইরানের তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকের পর বেশ ক্ষুব্ধ হয় ইরান সরকার। দেশটির বিভিন্ন পর্যায় থেকে সতর্ক করা হয় যুক্তরাজ্যকে। হুমকিও দেওয়া হয় এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার। আর এর দুদিন পরই প্রচারিত হয়, ব্রিটেনের একটি পতাকাবাহী ট্যাঙ্কারকে ‘আটক’ করা হয়েছে পারস্য উপসাগরে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আজ (৬ জুলাই) ভোরে যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী একটি ট্যাঙ্কারকে উপসাগরীয় অঞ্চলে থামানো হয়েছে।
এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে দোষ চাপে ইরানের ঘাড়ে। তবে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে ইরান এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নাকচ করে দেয়।
যুক্তরাজ্যের নৌবাণিজ্য পরিচালনা সংস্থা ইউকেএমটিও-র কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, ট্যাঙ্কারটি ‘নিরাপদে’ রয়েছে।
তারা আরো জানান, প্যাসিফিক ভয়েজার নামের তেল ট্যাঙ্কারটি থামানো হয়েছিলো নিয়ম মেনেই। বন্দরে ট্যাঙ্কারটি পৌঁছানোর সময় ঠিক করে নেওয়া হচ্ছিলো। এরপর ট্যাঙ্কারটি তার নিজ পথে চলতে শুরু করে বলেও কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
ট্যাঙ্কারটির সঙ্গে ইউকেএমটিও-র সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ইরান পারস্য উপসাগরে যুক্তরাজ্যের ট্যাঙ্কার ‘আটক’ করেছে- এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ইরানের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। ইরানের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির আইআরআইবি বার্তা সংস্থা ট্যাঙ্কার আটকের সংবাদটিকে ‘সঠিক নয়’ বলে অবহিত করে।
Comments