চিলিকে হারিয়ে তৃতীয় আর্জেন্টিনা, লাল কার্ড পেলেন মেসি
ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩৮তম মিনিটে লাল কার্ড দেখলেন লিওনেল মেসি। চিলির গ্যারি মেদেলও একইসঙ্গে পেলেন লাল কার্ড। রেফারির সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল, তা নিয়ে অবশ্য হতে পারে বিতর্ক। ধাক্কাধাক্কিতে দুজন জড়িয়েছিলেন ঠিকই, তবে মেদেলের মতো আগ্রাসী, মারমুখী ভূমিকায় ছিলেন না আর্জেন্টাইন তারকা। মেদেলই বা লাল কার্ড পাওয়ার কতখানি যোগ্য ছিলেন, তা নিয়েও থাকল প্রশ্ন। নেওয়া হয়নি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যও।
দলের সেরা তারকা মেসি লাল কার্ড পেলেও ম্যাচে শেষ হাসি হাসল আর্জেন্টিনাই। সাও পাওলোয় শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার এবারের আসরে তৃতীয় হলো তারা। একই প্রতিপক্ষের কাছে গেল দুটি কোপার ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্টিনা।
আলবিসেলেস্তেদের পক্ষে লক্ষ্যভেদ করেন সার্জিও আগুয়েরো ও পাওলো দিবালা। দুটি গোলই আসে ম্যাচের শুরুর দিকে। আগুয়েরোর গোলের উৎস মেসি। আর দিবালার গোলের জোগানদাতা জিওভান্নি লো সেলসো। বিরতির পর স্পট কিক থেকে চিলির হয়ে এক গোল শোধ করেন আর্তুরো ভিদাল।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিকের পুরো ফায়দা তুলে নেন আগুয়েরো। এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে মেসিকে ফাউল করা হলে রেফারি ফ্রি-কিকের সিদ্ধান্ত দেন। এরপর তার বাঁশি শুনেই সামনে বল বাড়ান তিনি। তখনও অপ্রস্তুত ছিলেন চিলির ফুটবলাররা। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে জড়ান আগুয়েরো।
দশ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে ১৪ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। লো সেলসোর বাড়ানো পাস দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন দিবালা। এরপর বাঁ পায়ের টোকায় চিলির গোলরক্ষক গ্যাব্রিয়েল আরিয়াসের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। এর সাত মিনিট পর মেসি-মেদেল মাঠ ছাড়লে দশ জনে পরিণত হয় দুদলই।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে সফল পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ভিদাল। লো সেলসো ডি-বক্সে চিলির মিডফিল্ডার চার্লস আরাঙ্গুইজকে ফাউল করলে ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এরপর আর কোনো গোল না হলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
Comments