গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা পাঁচ বোলার
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো আইসিসি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব। সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে এবার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। তেমনি বোলাররাও করেছে দারুণ। ২০ উইকেট কিংবা তার বেশি পেয়েছেন দুইজন। সেই তালিকায় ঢোকার অপেক্ষায় আছেন আরও বেশ কয়েকজন। এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নতুন রেকর্ডের পথে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক।
দেখা নেওয়া যাক, গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা বোলারের তালিকায় রয়েছেন কারা...
মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)
গত বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা তিনি। এবারও এগিয়ে যাচ্ছেন সে পথেই। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এ পেসার এর মধ্যেই ১৬.৬১ গড়ে পেয়েছেন ২৬ উইকেট। দুইবার করে চার ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ছুঁয়েছেন কিংবদন্তী গ্লেন ম্যাকগ্রার রেকর্ড। ২০০৭ সালে ২৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এক আসরে এটাই সর্বাধিক। এবার হয়তো সে রেকর্ডকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছেন স্টার্ক।
মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
শুরুর দিকে ততটা বিধ্বংসী ছিলেন না। টুর্নামেন্ট যতো গড়িয়েছে ততো বোলিংয়ে ধার বেড়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের। শেষ দুই ম্যাচে পেয়েছেন পাঁচ উইকেট করে। এর আগে ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পেসার গ্যারি গিলমোর। সবমিলিয়ে ২০টি উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। তবে কিছুটা খরুচে ছিলেন তিনি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭০ করে।
লোকি ফার্গুসন (নিউজিল্যান্ড)
শুরু থেকেই দারুণ ধারাবাহিক বোলিং করে গেছেন লোকি ফার্গুসন। নিউজিল্যান্ডের বোলিং নেতৃত্বই দিয়েছেন এ তরুণ। ৭ ম্যাচ খেলে ১৮.৫৮ গড়ে পেয়েছেন ১৭ উইকেট। ওভার প্রতি রানও দিয়েছেন পাঁচের কম। নিঃসন্দেহে কিউইদের সাফল্যের অন্যতম নায়ক এ পেসার।
জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)
অনেক দিন থেকেই ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। বিশ্বকাপেও সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। ফার্গুসনের সমান ১৭টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। তবে গড়ে কিছুটা পিছিয়ে। ১৯.৫২ গড়ে এ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার। কোনো ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিলেও নিয়মিত প্রতিপক্ষ শিবিরে তোপ দাগিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান)
বিশ্বকাপ দলে শুরুতে ছিলেন না। নানা নাটকীয়তার পর হুট করেই দলে জায়গা পান মোহাম্মদ আমির। দুর্দান্ত বোলিং করে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের পথেই রেখেছিলেন পাকিস্তানকে। দুর্ভাগ্যবশত সেরা চার থেকে বাদ পড়ে দলটি। তবে ২১.০৫ গড়ে ১৭টি উইকেট নিয়ে নিজের জাত আবারো চিনিয়েছেন এ পেসার। এ বিশ্বকাপেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পেয়েছেন তিনি।
ফার্গুসন, বুমরাহ ও আমির ছাড়াও তাদের সমান ১৭টি উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার। আমিরের মতো তিনিও শুরুতে বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। তবে সেরা পাঁচে না থাকলেও নজর কেড়েছেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র পাঁচ ম্যাচেই পেয়েছেন ১৬টি উইকেট। গড়েও সবার সেরা। ১৪.৬২ গড়ে উইকেটগুলো নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি।
Comments