যাদের মেয়ে আছে তারা সতর্ক থাকবেন: সায়মার বাবা

দেশবাসীর কাছে আমার এই আবেদন- আপনাদের যাদের মেয়ে রয়েছে তাদেরকে এমন পশুসুলভ আচরণ থেকে কীভাবে দূরে রাখা যায় তা একটু ভেবে দেখবেন। আপনার সন্তানদের রক্ষা করার চেষ্টা করবেন।- এমন মর্মস্পর্শী আবেদন করেছেন পাশবিক নির্যাতন ও হত্যার শিকার শিশু সায়মার বাবা আব্দুস সালাম।

দেশবাসীর কাছে আমার এই আবেদন- আপনাদের যাদের মেয়ে রয়েছে তাদেরকে এমন পশুসুলভ আচরণ থেকে কীভাবে দূরে রাখা যায় তা একটু ভেবে দেখবেন। আপনার সন্তানদের রক্ষা করার চেষ্টা করবেন।- এমন মর্মস্পর্শী আবেদন করেছেন পাশবিক নির্যাতন ও হত্যার শিকার শিশু সায়মার বাবা আব্দুস সালাম।

রাজধানীর ওয়ারীর সিলভারডেল স্কুলের নিহত শিক্ষার্থী সামিয়া আফরিন সায়মার সন্দেহভাজন হত্যাকারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আজ (৭ জুলাই) তিনি এ কথা বলেন।

নিহত সায়মার বাবা বলেন, “সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বলতে চাই- অতি দ্রুত সময়ে- তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি… আমার মেয়েকে দুই রকম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে… তার ফাঁসিটা যেনো অতি দ্রুততম সময়ে কার্যকর হয়। আমি এর জোর দাবি জানাচ্ছি।”

কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে আব্দুস সালাম বলেন, “আমি পারি নাই আমার মেয়েকে রক্ষা করতে। আমার মেয়ে আমার স্ত্রীর কাছে ১০ মিনিটের কথা বলে আটতলায় গিয়েছিলো। সেখানে এক বাচ্চার সঙ্গে খেলা শেষ করে এসে মার কাছে পড়া দেওয়ার কথা বলেছিলো সে।”

“কিন্তু, ১০ মিনিট পার হয়ে গেলো। আমি নামাজ পড়ে আসলাম কিন্তু তাকে পেলাম না।… সেই সময়ের মধ্যে আমার ফুটফুটে সুন্দর মেয়েটিকে তারা… এমন নির্মমভাবে হত্যা করলো যে তা দেখে আমাদের মরণ দশা হয়েছিলো,” যোগ করেন সালাম।

“আমার স্ত্রী এখনো পর্যন্ত একটু পানিও মুখে দিতে পারছে না। ঘরে ঢুকলেই মেয়ের ছবি, জামা-কাপড়… সেসব দেখলেই… এ ঘটনার পর আমার পুরো পরিবার বিধ্বস্ত। যার জীবনে এমন ঘটনা ঘটে সেই শুধু এর জ্বালা-যন্ত্রণা বুঝতে পারে।”

তার জোরালো দাবি, “এই ঘটনা আজকের পর যেনো স্তিমিত না হয়ে যায়। আজকের মতোই এ ঘটনা নিয়ে লেখালেখি করবেন। সচেতন থাকবেন- যাতে ঘটনাটি ধামাচাপা না পড়ে যায়। বাংলাদেশে অনেক ঘটনা রয়েছে যেগুলো প্রথমে আলোড়ন সৃষ্টি করে (এবং) পরে ধামাচাপা পড়ে যায়।”

আরো পড়ুন:

ওয়ারীতে শিশু সায়মা হত্যায় আটক ১

ওয়ারীর শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিলো

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago