৯৫ শতাংশ হাসপাতালে শিশু চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই

দেশের ৯৫ শতাংশ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ১০টি উপকরণ নেই বলে সরকারি এক জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
childhood
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৯৫ শতাংশ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ১০টি উপকরণ নেই বলে সরকারি এক জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুসারে, শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ১০টি জিনিসের প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে, শৈশবকালীন অসুস্থতার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা (আইএমসিআই), এই ব্যবস্থাপনার আওতায় কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, শিশুদের ওজন মাপার স্কেল, থার্মোমিটার, গ্রোথ চার্ট, ওষুধ, খাওয়ার স্যালাইন (ওআরএস), জিংক ট্যাবলেট/সিরাপ, এমোক্সিসিলিন সিরাপ এবং মেবেনডাজল।

২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সুবিধা জরিপে (বিএইচএফএস) দেখা গেছে, স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় শিশু বিভাগের সার্বিক অবস্থা বিগত চার বছরের তুলনায় বেশ খারাপ। ২০১৪ সালে মাত্র নয় শতাংশ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম ছিলো।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) পরিচালিত এই জরিপের আওতায় ছিলো দেশের আট বিভাগের ১ হাজার ৫২৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৫ হাজার ৪০০টি সেবাদানকারী। চিকিৎসকদের নেতৃত্বে মোট ৪০টি দল স্বাস্থ্য সুবিধা সংক্রান্ত এই সব তথ্য সংগ্রহ করে।

গত বছর এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হলেও, এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি।

এতে বলা হয়েছে, ২০টি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসরণ করে শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করতে দেখা গেছে। শিশুদের চিকিৎসা প্রদানে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাদির পূর্বপ্রস্তুতি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচি) মো. শামসুল হক জানান, স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকাগুলোর সঙ্গে পুরোপুরি না মিললেও, পরিস্থিতি চূড়ান্ত খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যায়নি।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, “কিছু স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে সরঞ্জাম ও ওষুধের অভাব থাকতে পারে, কিন্তু উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সার্বিক পরিস্থিতি ভালোই আছে।”

“উদাহরণস্বরূপ- একটি ওজন পরিমাপক যন্ত্র যদি নষ্ট হয়ে যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে আমলে নেয় এবং নতুন আর একটি যন্ত্র পেতে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়”, যোগ করেন তিনি।

ওষুধের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলেও জানান শামসুল।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে নিচের ইংরেজি লিংকে ক্লিক করুন)

Childcare at Hospitals: 95pc don’t have all of 10 basic tools

Comments