বিশ্বকাপের মাঝে মাশরাফির বিশ্রামের কথাও উঠেছিল!
চোটগ্রস্থ শরীর নিয়েই খেলে চলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। কিন্তু ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে নতুন করে যোগ হওয়া চোট কাবু করে ফেলেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। বিশ্বকাপের সময় তাই একাদশ থেকে অধিনায়কের বিশ্রামের কথাও উঠেছিল বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান। এমনকি মাশরাফি নিজেও নাকি এ কথা ভেবেছিলেন।
বুধবার লন্ডনে চেসউইক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাংসদীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা দেখতে এসে বোর্ড প্রধান জানান বিশ্বকাপে চোট নিয়ে কতটা নাজুক অবস্থায় ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। একটা পর্যায়ে তাই অধিনায়কের বিশ্রামের কথা উঠলেও লড়াকু মনের বলেই শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়তে রাজী হননি মাশরাফি।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়া মাশরাফির ভালো করা নিয়ে তাই আগে থেকেই শঙ্কা ছিল বোর্ড প্রধানের, “বিশ্বকাপে সে ভালো করতে পারেনি। কারণ আমরা কিন্তু আগেই জানতাম সে ভালো করতে না পারারই কথা। এই ধরণের কন্ডিশনে, পিচে সে ভাল করবে এটা আমরা আশাও করিনি। সে চোট পেয়েছে। আয়ারল্যান্ডে ফাইনাল ম্যাচ থেকে সে গ্রেড টু টিয়ার নিয়ে খেলছে।”
এমন চোট থাকায় অধিনায়ক দিতে পারছিলেন না নিজের সেরাটা। সে কারণেই এক পর্যায়ে তার বিশ্রামের কথা টিম ম্যানেজমেন্টের ভেতরেই নাকি উঠেছিল, “কিন্তু ও লড়াকু। দুএকবার কথা হয়েছিল যে ও বসে (একাদশ থেকে) পড়বে। ও নিজেও ঠিক করেছিল। তারপরে ওর মনে হয়েছে, “ ‘আমি সারাজীবন দেশের জন্য লড়াই করলাম এখন শেষ দুই ম্যাচে বসে পড়ব? আমি তো ইনজুরি নিয়েই খেলি।’ কাজেই এটা তো মানুষ অনেকে অনেক রকম ভাবে। এই ধরণের মানসিকতা সব ক্রিকেটারের থাকা দরকার।”
খেলোয়াড় মাশরাফি থেকে এবার বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স না এলেও অধিনায়ক মাশরাফি যে কতটা আবার মূল্যবান মনে করিয়ে দিলেন বোর্ড প্রধান, “মাশরাফি খেলোয়াড় (কেবল) হিসেবে তো আসে না। কিন্তু যদি অধিনায়ক বলেন তাহলে ওর মতো অধিনায়ক আমরা কোথাও পাব না। আমি সব সময় বলি দুটো খেলোয়াড়ের বিকল্প আমাদের নাই। খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব। আর অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি। এই দুজন ছাড়া সবারই বিকল্প আছে। অন্যদের বিকল্প পাব। এই দুজনের বদলি পাব কিনা আমার সন্দেহ।”
Comments