মানিকগঞ্জের ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
মানিকগঞ্জের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত ভবন বা শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকার কারণে ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীকে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে পাঠগ্রহণ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। অনেক বিদ্যালয় ভবনের নিচে মাটি সরে গেছে। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। কোনোটির আবার বিম থেকে খসে পড়ছে কংক্রিট। এরপরও পাঠদান কার্যক্রম চলছে এসব বিদ্যালয়ে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জেলার সিংগাইর উপজেলার ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক কুররাতুল আইন জানান, তার বিদ্যালয়ে দুটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে দুটি কক্ষ, আরেকটিতে রয়েছে তিনটি। তার বিদ্যালয়ের দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে একটি ভবন খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার কারণে ওই ভবনগুলোতেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে।
একই উপজেলার নয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার বিদ্যালয়ে একটি দ্বিতল ও একটি টিনশেড ভবন রয়েছে। দ্বিতল ভবনটি স্বাভাবিক থাকলেও টিনশেড ভবনটি পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু, শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেও শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, জেলার সাতটি উপজেলার মোট ৬৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ১৫০টি। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮টি, ঘিওরে ২২টি, সিংগাইরে ১৫টি, সাটুরিয়ায় ৭টি, হরিরামপুরে ২০টি, শিবালয়ে ২০টি এবং দৌলতপুরে ৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফা রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ১৫০টি বিদ্যালয়ের তালিকা ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
Comments