লাইভ আপডেট: ফাইনালে ইংল্যান্ড
লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। ২২৪ রানের। কিন্তু সে লক্ষ্য তাড়ায় বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ১০৭ বল বাকী থাকতেই ৮ উইকেটের জয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে দলটি। ফলে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে হারল অস্ট্রেলিয়া। এর আগের সাতটি সেমি-ফাইনালের সব কটিতেই জয় পেয়েছিল অসিরা।
ইংলিশদের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনারই। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১২৪ রান। এরপর জো রুটকে নিয়ে বাকী কাজ শেষ করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। দুই জনই অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে অবিচ্ছিন্ন ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।
আগের দিন ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। এদিন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হলো ইংল্যান্ড। আগামী রোববার লর্ডসে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে দল দুটি। এর আগে কোন দলই বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তাই নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নই দেখতে পাছে ক্রিকেট বিশ্ব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২২৩ (ওয়ার্নার ৯, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৮৫, হ্যান্ডসকম্ব ৪, ক্যারি ৪৬, স্টয়নিস ০, ম্যাক্সওয়েল ২২, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২৯, বেহরেনডর্ফ ১, লাওন ৫*; ওকস ৩/২০, আর্চার ২/৩২, স্টোকস ০/২২, উড ১/৪৫, প্লাঙ্কেট ০/৪৪, রশিদ ৩/৫৪)।
ইংল্যান্ড: ৩২.১ ওভারে ২২৬/৮ (রয় ৮৫, বেয়ারস্টো ৩৪, রুট ৪৯*, মরগান ৪৫*; বেহরেনডর্ফ ০/৩৮, স্টার্ক ১/৭০, কামিন্স ১/৩৪, লাওন ০/৪৯, স্মিথ ০/২১, স্টয়নিস ০/১৩)।
ফলাফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রিস ওকস (ইংল্যান্ড)।
ইংলিশদের দলীয় দুইশত রান
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন দুই দুই ওপেনার। তাতে অবশ্য কোন সমস্যা হয়নি ইংলিশদের। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান ও জো রুট। দুই ব্যাটসম্যানই আগ্রাসী ব্যাটিং করে এর মধ্যেই স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। পার হয়েছে দলীয় দলীয় দুইশত রান। ২৯.২ ওভারে (১৭৬ বলে) এসেছে এ রান। প্রথম একশ রান এসেছিল ৯৩ বলে।
৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২১০ রান। রুট ৩৯ ও মরগান ৪০ রানে ব্যাট করছেন।
মরগান-রুট জুটিতে পঞ্চাশ
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন জো রুট। লক্ষ্য ছোট হলেও আগ্রাসী ব্যাটিংই করছেন তারা। এরমধ্যেই তাদের জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান। ৫০ বলে এসেছে জুটির ফিফটি। তাতে রুটের অবদান ১৬ রান। এবং মরগান করেছেন ৩৩ রান।
২৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৯৭ রান। রুট ৩৩ ও মরগান ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট জেসন রয়
দারুণ ব্যাটিং করছিলেন জেসন রয়। ইংলিশদের উড়ন্ত সূচনা তো এনে দিয়েছেনই, নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে প্যাট কামিন্সের লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বলে পুল করতে গিয়েছিলেন তিনি। বল ব্যাটে লাগেনি। তবে অসিদের আবেদনে ঠিকই সাড়া দিয়েছেন আম্পায়ার। আগেই রিভিউ নষ্ট করে ফেলায় সাজঘরে ফিরতেই হয় রয়কে। ৬৫ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮৫ রান করেছেন এ ওপেনার।
২০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৭ রান। ১৭ রানে ব্যাট করছেন জো রুট। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইয়ন মরগান।
রেকর্ড গড়ে জুটি ভাঙলেন স্টার্ক
২০০৭ বিশ্বকাপে মোট ২৬টি উইকেট নিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। এক যুগ পর সে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন উত্তরসূরি মিচেল স্টার্ক। গ্রুপ পর্বেই ২৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এক আসরে পেলেন ২৭ উইকেট। তবে রিভিউ নিয়েছিলেন বেয়ারস্টো। লাভ হয়নি। উল্টো রিভিউ খুইয়েছেন এ ওপেনার। তাতে ভাঙে ১২৪ রানের জুটি। ৪৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করেছেন এ ওপেনার।
১৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৩৬ রান। ৭৯ রানে ব্যাট করছেন জেসন রয়। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন জো রুট।
ইংল্যান্ডের দলীয় শতরান
ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গড়েছেন স্টিভ স্মিথ। বোলারদের ব্যর্থতায় বল হাতে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারলেন না তিনি। বেদম পিটুনি খেয়েছেন জেসন রয়ের হাতে। টানা তিনটি ছক্কায় মোট ২১ রান দিয়েছেন। একই ওভারে দলীয় শতরান পূরণ করেছে ইংলিশরা। ১৫.৩ ওভারে (৯৩ বলে) এসেছে দলের শতরান। প্রথম পঞ্চাশ রান দলটি করেছিল ৫৯ বলে।
১৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২৪ রান। রয় ৭৯ ও বেয়ারস্টো ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।
জেসন রয়ের ফিফটি
শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন জেসন রয়। ইংল্যান্ডের ফাইনালের ওঠার স্বপ্ন জোরালো করে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে গড়েছেন দারুণ এক জুটি। এরমধ্যেই নিজেও পৌঁছেছেন হাফসেঞ্চুরির কোটায়। ৫০ বলে এসেছে তার ফিফটি। এ রান করতে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯৫ রান। জেসন রয় ৫৪ ও বেয়ারস্টো ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
ইংল্যান্ডের দলীয় পঞ্চাশ
শুরুতে দেখে শুনে খেললেও ধীরে ধীরে খোলস ভেঙে বের হচ্ছেন দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। ফলে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ সূচনা পেয়েছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যেই দলীয় পঞ্চাশ রান পার করেছে দলটি। উইকেট হারায়নি একটিও। পাওয়ার প্লেতেই (৫৯ বলে) আসে এ রান।
১০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫০ রান। রয় ২৭ ও বেয়ারস্টো ২০ রানে ব্যাট করছেন।
ইংল্যান্ডের সাবধানী সূচনা
লক্ষ্যটা বড় না হওয়ায় বেশ সাবধানেই সূচনা করেছে ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয় দুইজনই দেখে শুনে খেলছেন। প্রথম পাঁচ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র ৩টি।
৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২০ রান। জেসন রয় ১৩ ও জনি বেয়ারস্টো ৯ রানে ব্যাট করছেন।
২২৩ রানে গুটিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
শুরুতেই শেষ ফর্মে থাকা দুই ওপেনার। দলীয় ১৪ রানে পড়ল আরও এক উইকেট। বড় চাপে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে যাদের হারের রেকর্ড নেই। এরপর দলের ত্রাতা হয়ে মাঠে নামলেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিলেন দলের সহ-অধিনায়ক অ্যালেক্স ক্যারি। এরপর আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে আবারো কোণঠাসা অসিরা। কিন্তু অনড় ওই স্মিথ। বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন তিনি। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দিয়ে আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে। তাতে ২২৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছে দলটি।
মূলত ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস ও জোফরা আর্চারের তোপে খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। মাঝে ঘূর্ণির মায়াজাল বিছান রশিদ। ফলে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি দলটি। এক ওভার বাকী থাকতেই গুটিয়ে যায় দলটি। ফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২২৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২২৩ (ওয়ার্নার ৯, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৮৫, হ্যান্ডসকম্ব ৪, ক্যারি ৪৬, স্টয়নিস ০, ম্যাক্সওয়েল ২২, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২৯, বেহরেনডর্ফ ১, লাওন ৫*; ওকস ৩/২০, আর্চার ২/৩২, স্টোকস ০/২২, উড ১/৪৫, প্লাঙ্কেট ০/৪৪, রশিদ ৩/৫৪)।
ফিরে গেলেন স্টার্কও
আগের বলেই রানআউট হয়ে ফিরেছেন স্মিথ। এবার ফিরে গেলেন মিচেল স্টার্কও। ওকসের বলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে। ৩৬ বলে ২৯ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১টি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে এ রান করেছেন স্টার্ক।
রানআউট হয়ে ফিরলেন স্মিথ
ধ্বংসস্তূপ থেকে একাই দলকে টানলেন স্টিভ স্মিথ। এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ে মাঝে শুরুতে অ্যালেক্স ক্যারিকে পেয়েছেন, শেষ দিকে মিচেল স্টার্ককে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস মেরামতের কাজটা নিজ হাতেই করেছেন সাবেক এ অধিনায়ক। নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দিকে। কিন্তু রানআউটে শেষ হয় তার বীরত্ব গাঁথা। উইকেটরক্ষক জস বাটলারের দারুণ থ্রোতে ব্যক্তিগত ৮৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তাতে ভাঙে ৫১ রানের জুটি।
অস্ট্রেলিয়ার দলীয় দুইশ
ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে শঙ্কা ছিল দুইশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে অষ্টম উইকেটে স্টিভ স্মিথকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন মিচেল স্টার্ক। এর মধ্যেই দলীয় দুইশ রান পার করেছে দলটি। ৪৪.৩ ওভারে (২৬৭ বলে) এসেছে দলীয় দ্বিশতক। প্রথম শতকটি এসেছিল ১৪৫ বলে।
৪৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২০৬ রান। স্মিথ ৮২ ও স্টার্ক ২২ রানে ব্যাট করছেন।
কামিন্সের বিদায়ে বিপদে অস্ট্রেলিয়া
এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করছেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু অপর প্রান্তে তাকে পর্যাপ্ত সঙ্গ দিতে পারছেন না কেউ। ফলে দুইশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সপ্তম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফিরেছেন প্যাট কামিন্স। আদিল রশিদের বলে খেলতে গিয়ে স্লিপে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। ১০ বলে ৬ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
৩৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৬৬ রান। ৬৮ রানে ব্যাট করছেন স্মিথ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মিচেল স্টার্ক।
আশা জাগিয়ে ফিরে গেলেন ম্যাক্সওয়েল
শুরুর চাপ অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে সামলে নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু আদিল রশিদের জোড়া ধাক্কায় আবারো চাপে পড়ে দলটি। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে স্কোর বড় করার কাজে নেমেছিলেন স্মিথ। ৩৯ রানের ছোট একটি জুটিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু হতাশ করেছেন ম্যাক্সওয়েল। জোফরা আর্চারের স্লোয়ারে কভারে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ইয়ন মরগানের হাতে। ২৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল।
৩৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান। ৬৫ রানে ব্যাট করছেন স্মিথ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন প্যাট কামিন্স।
রশিদের জোড়া আঘাত
দুই বল আগেই জুটি ভেঙেছেন রশিদ। এবার আরও একটি উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধকে প্রায় গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মার্কাস স্টয়নিসকে ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ফলে আবারো চাপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২ বল খেলে কোন রান করতে পারেননি স্টয়নিস।
২৯ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২১ রান। ৫০ রানে ব্যাট করছেন স্মিথ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
স্মিথের ফিফটি
শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করছেন স্টিভ স্মিথ। অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে দলের ইনিংস মেরামত করেছেন তিনি। যদিও এরপরই ফিরে গেছেন ক্যারি। তবে এক প্রান্ত আগলে ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছেন স্মিথ। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৭২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
ক্যারিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রশিদ
দলের সংকটে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। দলের ইনিংস তো মেরামত করেছেনই, নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফসেঞ্চুরির পথে। তবে তার আগেই ক্যারিকে ফিরিয়েছেন রশিদ। তার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিডউইকেটে মিডউইকেটে অতিরিক্ত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের হাতে। ৭০ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪৬ রান করেছেন ক্যারি।
স্মিথ-ক্যারি জুটিতে পঞ্চাশ
শুরুর ধাক্কা সামলে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। এর মধ্যেই তাদের জুটি শতরান পার করেছে। ১২০ বলে এসেছে জুটির পঞ্চাশ। তাতে স্মিথের অবদান ৪৭। ক্যারি করেছেন ৪৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার দলীয় একশ
শুরুটা খুব বাজে হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলীয় শতরান পার করেছে আর কোন উইকেট না হারিয়ে। দারুণ ব্যাট করে দলের ইনিংস মেরামত করেছেন স্টিভ স্মিথ। সঙ্গে পেয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারিকে। ২৪.১ ওভারে (১৪৫ বলে) এসেছে দলীয় শতরান। প্রথম পঞ্চাশ রান করতে ৯১ বল খেলেছিল দলটি।
২৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৩ রান। স্মিথ ৪৪ ও ক্যারি ৩৮ রানে ব্যাট করছেন।
স্মিথ-ক্যারি জুটিতে পঞ্চাশ
সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে শুরু ধাক্কা সামলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি এগিয়ে যাচ্ছে দারুণভাবেই। এরমধ্যেই চতুর্থ উইকেট জুটিতে পঞ্চাশ রানের কোটা পার করেছে। ৬৭ বলে এসেছে জুটির পঞ্চাশ। তাতে স্মিথের অবদান ২৭ রান। ক্যারি করেছেন ১৭ রান।
২০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৮ রান। স্মিথ ৩৪ ও ক্যারি ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার দলীয় পঞ্চাশ
দলীয় ১৪ রানেই অসি টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে চতুর্থ উইকেটে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে দলটির ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। এরমধ্যেই দলীয় পঞ্চাশ রান পার করেছে তারা। ১৫.১ ওভারে (৯১ বলে) এসেছে দলটির দলীয় হাফসেঞ্চুরি।
১৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৫ রান। স্মিথ ২১ ও ক্যারি ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
হ্যান্ডসকম্বকে বোল্ড করলেন ওকস
দুই ওপেনারকে হারিয়ে এমনিতেই বড় চাপে অস্ট্রেলিয়া। সে চাপ আরও বাড়িয়ে গেলেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। উসমান খাওয়াজার ইনজুরিতে একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে পারলেন না এ ব্যাটসম্যান। ক্রিস ওকসের বল বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে বড় গ্যাপ থাকার খেসারৎ দিয়ে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৪ রানে। দলীয় ১৪ রানে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় উইকেট।
৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫ রান। ১ রানে ব্যাট করছেন স্মিথ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি।
টিকলেন না ওয়ার্নারও
দারুণ সূচনা পেয়েছে ইংল্যান্ড। আগের ওভারেই অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন জোফরা আর্চার। এবার আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন ক্রিস ওকস। শট নেওয়ার সময় কিছুটা দোমনা ছিলেন ওয়ার্নার। খেলবেন কি খেলবেন না ভাবতে ভাবতেই শট নিতে গিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো জনি বেয়ারস্টোর হাতে। ১১ বলে ৯ রান করেছেন ওয়ার্নার।
৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২ রান। ১ রানে ব্যাট করছেন স্মিথ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন পিটার হ্যান্ডসকম।
শুরুতেই ফিঞ্চের বিদায়
ইনিংসের প্রথম বলেই দারুণ এক চার মেরেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দারুণ কিছুর। তবে অসি শিবিরে আঘাত হানতে খুব ব্বেশি সময় নেয়নি ইংলিশরা। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন জোফরা আর্চার। রিভিউ নিয়েছিলেন ফিঞ্চ। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টো রিভিউ খুইয়েছে দলটি। খালি হাতে ফিরেছেন ফিঞ্চ।
২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬ রান। ৫ রানে ব্যাট করছেন ওয়ার্নার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন স্টিভ স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়া দলে এক পরিবর্তন
পরিবর্তনটা আগেই অনুমিত ছিল। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাওয়াজা। তার জায়গায় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডকে দলে নিলেও এদিন একাদশে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে নিয়েছে অসিরা। এছাড়া আর কোন পরিবর্তন নেই দলে।
অস্ট্রেলিয়া: ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভেন স্মিথ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যালেক্স ক্যারি , প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও জেসন বেহরেনডর্ফ।
অপরিবর্তিত ইংল্যান্ড দল
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কোন পরিবর্তন আসেনি ইংল্যান্ড দল। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেছে তারা। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের খেলা একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে দলটি। পাঁচ পেসারের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে থাকছেন আদিল রশিদ।
ইংল্যান্ড: জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, জস বাটলার, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাঙ্কেট ও মার্ক উড।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে ব্যাটিংয়ে
আগের দিন ভারতকে বড়সড় চমক উপহার দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফাইনালের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হতে এদিন মাঠে নেমেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আর শুরুতে ভাগ্যটা অসিদের সঙ্গেই গিয়েছে। টস জিতে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং। অর্থাৎ আগে ফিল্ডিং করবে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান ও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান
বিশ্বকাপে দুদল মুখোমুখি হয়েছে আটবার। এর ছয়টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, দুটিতে ইংল্যান্ড। ১৯৯২ সালের পর অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে অসিদের হারাতে পারেনি ইংলিশরা। হেরেছে টানা চার ম্যাচ (২০০৩, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৯ আসরে)। দুই দলের মোট মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। মোট ১৪৮টি লড়াইয়ের মধ্যে ৮২টি ম্যাচে জিতেছে তারা। ইংল্যান্ডের জয় ৬১টি ম্যাচে। বাকী ৫টি ম্যাচের ২টি টাই ও ৩টি পরিত্যক্ত।
তবে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচগুলোর অধিকাংশ জিতেছে ইংল্যান্ড। গেল বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল তারা। এরপর একই বছরের জুনে নিজেদের মাঠে অসিদের ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই
ক্রিকেট ইতিহাসের শুরুটা হয়েছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে। সেই থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ দুই দলের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার দাপটটা বেশি। গ্রুপ পর্বেও জিয়েছিল অসিরাই। অ্যারন ফিঞ্চের দল ৬৪ রানের বড় ব্যবধানেই জিতেছিল ইয়ন মরগানদের বিপক্ষে। তবে ম্যাচটা যেহেতু ফাইনালে ওঠার লড়াই ও নক-আউট, তাই ম্যাচের আবেদন, উত্তেজনা ও গুরুত্ব একেবারে ভিন্ন।
আবার নকআউট ম্যাচের কথা চিন্তা করলে তাতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কখনও হারেনি। ইংল্যান্ড তো শেষবার বিশ্বকাপে তাদের হারিয়েছিল সেই ১৯৯২ সালে। কিন্তু অনেক দিন থেকেই বদলে গেছে ইংল্যান্ড দল। তাই ভিন্ন কিছুই আশা করছে দলটি।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে ইংলিশদের সাম্প্রতিক রেকর্ড আবার ঈর্ষনীয়। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে এই মাঠে সবশেষ দশ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে তারা। লিগ পর্বে এজবাস্টনেই ভারতকে হারিয়ে সেমির দৌড়ে ফিরে এসেছিল দলটি। একেবারে বিপরীত চিত্র অস্ট্রেলিয়ার। গেল ২৬ বছরে এই মাঠে কোনো ম্যাচ জেতেনি তারা। লিগ পর্বে এখানে কোনো ম্যাচও খেলেনি দলটি। অসিদের জন্য এ যেন বাড়তি পরীক্ষা।
Comments